জুন ০৬, ২০২১ ১৭:১৩ Asia/Dhaka
  • একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৬ জুন রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • চীনা টিকার দাম বলার পর অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি–দৈনিক প্রথম আলো
  • দেশে সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন, পরিবেশক ইনসেপ্টার- দৈনিক কালেরকণ্ঠ 
  • ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় শিথিলতা দেখালে চরম খেসারত দিতে হবে’-দৈনিক ইত্তেফাক

  • বাজেটে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নেয়া হয়নি’-মানবজমিন
  • ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ: এমপি হারুন-দৈনিক সমকাল
  • আরও ১০ দিন বাড়তে পারে লকডাউন  - দৈনিক যুগান্তর 
  • হঠাৎ কেন রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিল মিয়ানমারের বিরোধী দলগুলো?-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • সন্তানদের ভবিষ্যৎ সবার আগে, পরীক্ষা নিয়ে সবাই মতামত দিন, বললেন মমতা-আনন্দবাজার
  • তৃণমূলের পর এবার বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল? ভাঙন রুখতে মঙ্গলবার স্ট্র্যাটেজি বৈঠক -আজকাল
  • দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত নামল ১ লক্ষ ১৪ হাজারে, অ্যাকটিভ কেস ১৫ লক্ষেরও কম -সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

চীনা টিকার দাম বলার পর অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি–দৈনিক প্রথম আলো

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আকতারকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব সম্প্রতি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের পর এক ব্রিফিংয়ে শাহিদা আকতার প্রতি ডোজ টিকার দাম কত হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছিলেন। এই দাম জানানোর পর টিকা নিয়ে কিছুটি জটিলতা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ১ জুন শাহিদা আকতারকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে অন্য আদেশের মতো জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারি সূত্রগুলো বলছে, মূলত টিকার দাম জানিয়ে দেওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে।

চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে দেশে আসার কথা। তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কিনতে দুই পক্ষের মধ্যে তিনটি চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

দেশে সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন, পরিবেশক ইনসেপ্টার- দৈনিক কালেরকণ্ঠ 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেডের তৈরি করা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশে এ টিকার পরিবেশক হিসেবে কাজ করবে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। সিনোভ্যাকের পক্ষে ইনসেপ্টা এ টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ অনুমোদন দেয় বলে রবিবার (৬ জুন) সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিনোভ্যাকের এই টিকা ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য ব্যাবহার উপযোগী। দুই ডোজের এই টিকার ১ম ডোজের ২ বা ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এ টিকার সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও ১০ দিন বাড়তে পারে লকডাউন  - দৈনিক যুগান্তর 

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে না আসায় চলমান বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।  রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে আজ রাতে আরও ১০ দিন বিধিনিষেধ বাড়ানো হবে।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রোববার মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। 

মার্চের শেষের দিকে দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।  এতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যায়।  মার্চের শুরু থেকে প্রথমে গণপরিবহন ও অফিস চালু রেখে লকডাউন দেওয়া হয়।  পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ৬ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।  গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।  এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে বসিয়ে সেবা দেওয়ার অনুমতি পায়।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় শিথিলতা দেখালে চরম খেসারত দিতে হবে’-দৈনিক ইত্তেফাক

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় শিথিলতা দেখালে চরম খেসারত দিতে হবে। প্রয়োজনে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি মোতায়েন করা যেতে পারে। আজ রবিবার ( ৬ জুন) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। তার মতে, জেলা পর্যায়ে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে শুরু করে অক্সিজেন সহায়তা প্রস্তুত রাখতে হবে

জিএম কাদের মনে করেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেভাবে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে তা আশংকাজনক। আবার সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে প্রতি রাতেই ভারত থেকে অসংখ্য মানুষ প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। তাই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আরো কঠোরভাবে লকডাউন প্রয়োজন।

হঠাৎ কেন রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিল মিয়ানমারের বিরোধী দলগুলো?-বাংলাদেশ প্রতিদিন

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অনেক চাপ সত্ত্বেও মিয়ানমারের যে রাজনীতিকরা রোহিঙ্গাদের অধিকারের বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি, হঠাৎ করে তাদের অবস্থানে নাটকীয় পরিবর্তন বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো অং সান সু চি’র দল এনএলডি-সহ বিরোধী দলগুলোর একটি জাতীয় মোর্চা থেকে গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এই নাটকীয় ঘোষণাটি দেওয়া হয়। এতে রোহিঙ্গাদের অধিকারের স্বীকৃতি শুধু নয়, ১৯৮২ সালের যে নাগরিকত্ব আইনের বলে তাদের অধিকার হরণ করা হয়, সেটি বিলোপের অঙ্গীকারও রয়েছে।

গণতন্ত্রের দাবিতে রক্তাক্ত সংগ্রামে লিপ্ত মিয়ানমারের বিরোধীদলগুলো এখন গড়ে তুলেছে একটি সমান্তরাল সরকার, যেটি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের জন্য এই এনইউজি এখন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাজেটে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নেয়া হয়নি’-মানবজমিন

নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। একটি ক্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এই বাজেটে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য কিছু বলা হয়নি। যা বলা হয়েছে তার পুরোটাই প্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে ধরনের পদক্ষেপ দরকার ছিল, তা বাজেটে খুবই কম। আজ রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২; পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে?’ শীর্ষক ভার্চূয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, করোনার কারণে দেশে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এসব মানুষের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।করোনায় নতুন গরিবের সংখ্যা কত বাড়ল? তা নিয়ে বাজেটে কোনো তথ্য নেই। এ নিয়ে সরকারি কোনো পরিসংখ্যানও নেই। তাই এতে নতুন দরিদ্রদের জন্য কোনো নীতিও নেই। তিনি বলেন, এত দিন শুধু তথ্যউপাত্তের ঘাটতি ছিল। এখন তা তথ্যের নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। এই তথ্যঘাটতির কারণে বাজেটে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নেয়া হয়নি।বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাজেটে যেসব শুল্ক ও কর ছাড় দেয়া হয়েছে, তার বড় সুবিধাভোগী হবে দেশের প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এটার ফলে অনেক বেশি রপ্তানি প্রক্রিয়া খাত লাভবান হবে। করপোরেট করের সুবিধা বড়রাই বেশি পাবে। রাজস্ব সুবিধা যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে, সেগুলোও বড়রা বেশি পাবে। মাঝারিরাও পাবে। কিন্তু ছোটদের জন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। পুরো বাজেটটাই প্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য নয়। সবগুলো বড় ও করপোরেট গ্রুপের জন্য নেয়া হয়েছে। উদ্যোক্তা শ্রেণি সম্পর্কে এত বেশি উদ্যোগ আছে, ভোক্তা শ্রেণির জন্য কিছু নেই। নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য কিছু নেই। আয়করে ছাড় দেয়ার সুযোগ ছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ছাড় দেয়ার সুযোগ ছিল। ব্যক্তিখাতে যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে, তাতে কর্মসংস্থান বাড়বে না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অনিশ্চিত। বাজেটে উচ্ছ্বাস, চ্যালেঞ্জ, অসম্পূর্ণতা রয়েছে। অতিমারির প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়নি। দারিদ্র্য পরিস্থিতি গুরুতর হয়েছে। কর্মহীনতা বেড়েছে। বেড়েছে বৈষম্য। দারিদ্র্যবিমোচন বাবদ যে খরচ করার দাবি সরকার করছে, তা ঠিক না। কর ছাড়ের ফলে কী পরিমাণ মজুরি শ্রম হবে তার মূল্যায়ন নেই। গতানুগতিক যুব প্রশিক্ষণেই আটকে আছে সরকার। পাঁচ বছর ধরে কোনো শ্রম জরিপ নেই।তিনি বলেন, বাজেটে নারীদের জন্য ভালো উদ্যোগ রয়েছে। কর ছাড়, ভ্যাট মওকুফ, ন্যাপকিনে কর ছাড় এগুলো ভালো পদক্ষেপ। আইসিটি ভালো। তৃতীয় লিঙ্গের জন্য প্রগতিশীল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা সমর্থনযোগ্য। স্বাস্থ্যের বিনিয়োগে কর অবকাশ সুবিধা ভালো। কিন্তু মানুষ নতুন দরিদ্র হয়ে গেলে তাদের জন্য কিছু নেই। নব্য দরিদ্র, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, যুব সমাজ উপেক্ষিত। চর, হাওড়, উপকূলীয় অঞ্চল, যারা একাধিক ধাক্কা খেয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ কিছু নেই। অন্যান্য মানসিক সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় করতে না পারাটা কলঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। সামাজিক সুরক্ষায় বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা পরিসংখ্যান সমর্থন করে না। বৃদ্ধি যেটা হয়েছে, তা পেনশনে হয়েছে।দেবপ্রিয় বলেন, সরকার করোনার দ্বিতীয় ধাক্কাকে বিবেচনায় নেয়নি। এমনকি প্রথম ধাক্কাও ঠিকভাবে বিবেচনা করা হয়নি। সরকারিভাবে এর মূল্যায়ন হয়নি। বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ উদ্যোক্তাদের হাতে বাড়ানো, সেটা ঠিকভাবে হয়নি। ভোক্তা, গবির মানুষকে অর্থ সহায়তা, খাদ্য সহায়তা বাড়েনি। অন্তর্ভুক্তি বাড়লেও নায্যতার দিকে বাজেট এগোয়নি।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ হেলথওয়াচের আহ্বায়ক মুস্তাক রাজা চৌধুরী, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান রাশেদা কে চৌধুরী, নিউএজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান শাহীন আনাম।

ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ: এমপি হারুন-দৈনিক সমকাল

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। রোববার সংসদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয় এবং সোমবার সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে। বিদায়ী অর্থ বছরের (২০২০-২১) সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, চীন ও রাশিয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে এসেছিল। তারা ট্র্যায়াল দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের ট্র্যায়ালের অনুমতি দেইনি। তাদের প্রস্তাব সেই সময় গ্রহণ করলে এখন ভ্যাকসিনের সঙ্কট হতো না। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার। যে কারণে ভ্যাকসিন নিয়ে চীনের সাথে কথা হলেও ভ্যাকসিন পাব কী না তা অনিশ্চিত। আশা করবো এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিবেন।

সন্তানদের ভবিষ্যৎ সবার আগে, পরীক্ষা নিয়ে সবাই মতামত দিন, বললেন মমতা-আনন্দবাজার

করোনা অতিমারীর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না সেই বিষয়ে অভিভাবক, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের কাছে মতামত চেয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেই একই আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তির ছবি টুইট করে মমতা জনমত জানানোর আবেদন করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

টুইটে মমতা লেখেন, ‘আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি আমরা। সেই সঙ্গে আমরা অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, সমাজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও তাঁদের মতামত জানতে চাইছি’

তৃণমূলের পর এবার বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল? ভাঙন রুখতে মঙ্গলবার স্ট্র্যাটেজি বৈঠক -আজকাল

দলে ভাঙন রুখতে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিজেপি। আগামী ৮ জুন সাংগঠনিক সভার ডাক দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে‌। এরপরই মনে করা হচ্ছে, এবার তৃণমূলের পর কি বিজেপির সংগঠনেও রদবদল হতে চলেছে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে। 

বাংলা দখল অধরাই থেকে গিয়েছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যের কর্মীদের। ভোটের আগে যারা অন্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তারা আবার পুরনো দলে ফিরে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত বিষয়গুলিকে নিয়ে মঙ্গলবার স্ট্রাটেজি সাজাতে বৈঠক ডাকল গেরুয়া শিবির। দলে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেই ভাঙন কীভাবে আটকানো যাবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

অন্যদিকে, সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনাও শোনা যাচ্ছে। বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল পর্যালোচনা করতে রবিবারই দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জে পি নাড্ডার এই বৈঠকে থাকার কথা ছিল। বঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, বাংলায় নতুন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে দিল্লি। পাশাপাশি ৮ জুন সাংগঠনিক রদবদলও করা হতে পারে। কমিটির সদস্যদের পরিবর্তনও করা হতে পারে।

দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত নামল ১ লক্ষ ১৪ হাজারে, অ্যাকটিভ কেস ১৫ লক্ষেরও কম -সংবাদ প্রতিদিন

একদিকে বিধিনিষেধ, অন্যদিকে টিকাকরণ। জোড়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশের করোনা গ্রাফ। একটা সময় যেখানে দৈনিক চার লক্ষ মানুষ সংক্রমিত মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিলেন। সেখানে গত কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কমার পর সেটা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজারে। অ্যাকটিভ কেসও কমতে কমতে নেমে এসেছে ১৫ লক্ষের নিচে।

রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৬০ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ ৯ হাজার ৩৩৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৫৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬৭৭ জনের। ম্রুতের সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। একটা সময় দেশের দৈনিক মৃত্যু চার হাজারের উপরে উঠে গিয়েছল। তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ