জুন ০৮, ২০২১ ১৫:৪৫ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৮ জুন মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • স্বাস্থ্য প্রশাসনে উপযুক্ত লোকের পদায়ন নেই দুর্নীতির মূলেও রয়েছে অব্যবস্থাপনা -ইত্তেফাক
  • কী কারণে বাড়ছে বজ্রপাত, কেন বাড়ছে মৃত্যু -যুগান্তর
  • বিশ্লেষণ অর্থমন্ত্রী, এই নিন টাকা পাচারকারীর তথ্য -প্রথম আলো
  • স্বাস্থ্যের দুর্নীতি নিয়ে তোপের মুখে মন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
  • টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলন-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীর গড় খরচ ৫ লক্ষাধিক টাকা-মানবজমিন 
  • ৫ বছরে অর্থ পাচারের ১০২৪টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি ক্ষতি? মেলেনি প্রমাণ, আশ্বাস কেন্দ্রের -সংবাদ প্রতিদিন
  • বৈঠকে গরহাজির রাজীব-‌মুকুল, সব জেনেও দিল্লিতে শুভেন্দু!‌ দাবি দিলীপের –আজকাল
  • আজকালের অন্য একটি খবরের শিরোনাম- নতুন টিকাকরণ নীতিতে খরচ পড়বে ৫০ হাজার কোটি, বলছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সূত্র

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক

সংসদে আলোচনা-টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না-প্রথম আলো

টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না

দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয়টি এখন আর কেউ অস্বীকার করেন না। শুধু কারা বেশি টাকা পাচার করেন, এ নিয়ে বিতর্ক হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজনীতিবিদেরা নন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তাঁর এই বক্তব্যের প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর জাতীয় সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে টাকা পাচার বন্ধে জোরালো দাবি উঠেছে।

বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে গত রোববার জাতীয় সংসদে দাবি তুলেছিলেন সরকারি দলেরই এক সাংসদ। আর গতকাল সোমবার বিরোধী দলের সদস্যরা বলেছেন, দেশ থেকে টাকা পাচার ঠেকানোর কোনো পথ সরকার বের করছে না। পাচার করা টাকাও ফিরিয়ে আনতে পারছে না। কেউ টাকা পাচার করছেন আন্ডারইনভয়েসিং (দাম কম দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি) এবং ওভারইনভয়েসিংয়ের (আমদানিতে দাম বেশি দেখিয়ে) নামে। আবার কেউ পাচার করছেন অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে।

তারা পুকুরচুরি করে বের হয়ে যাচ্ছে। আর যাঁরা এসব তুলে ধরছেন, তাঁরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী

২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের চারজন সদস্য এসব কথা বলেছেন। আর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল টাকা পাচারের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদদের কাছে। যদিও গত ১৮ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গোপনে কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ধারণা ছিল, রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে, কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে।’

আর গতকাল সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব সঠিক, কিন্তু কর্তৃত্ব দুর্বল। তবে সব দোষ অর্থমন্ত্রীর ঘাড়ে দেওয়াও ঠিক নয়। যেমন ব্যাংক খাতে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তৃত্ব নেই। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা ইত্যাদি খাতেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব নেই। অবাধে চলছে সব। এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমেও বিদেশে টাকা পাঠানো হচ্ছে।

দুদকের হেড অফিস আপাতত বাংলাদেশে রাখার দরকার নেই। এটি কানাডায় করা হোক। আরেকটি শাখা হোক মালয়েশিয়ায়।

Image Caption

টাকা পাচার রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম নিয়েও একটি প্রস্তাব দিয়েছেন সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, দুদকের হেড অফিস আপাতত বাংলাদেশে রাখার দরকার নেই। এটি কানাডায় করা হোক। আরেকটি শাখা হোক মালয়েশিয়ায়। এর বাইরে আমেরিকায়, অস্ট্রেলিয়ায়, দুবাইতে দুদকের শাখা কার্যালয় করা গেলে টাকা পাচারের সঠিক চিত্রটি বোঝা যাবে।

দেশের অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুণ্ঠনকারী ও টাকা পাচারকারী হিসেবে অনেক দিন ধরে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) নিয়েও কথা বলেন জাপার এই সাংসদ। তিনি বলেন, ‘পি কে হালদার এত টাকা নিল! অথচ বলা হচ্ছে, ৯ মিনিটের জন্য তাকে ধরতে পারেননি। তাহলে ৯ ঘণ্টা আগে কেন তাকে ধরলেন না?’

পাচার করা অর্থে কারা বিদেশে বাড়ি বানিয়েছেন, আদালত এ বিষয়ে একটি তালিকা চাইলেও দুদক তা জমা দিতে পারেনি বলেও জানান ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এত বেশি শাখা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ তদারকির অভাব আছে। ঠিক সময়ে নিরীক্ষা হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। এত অর্থ পাচারও হতো না, এত বাজে ঋণও দেওয়া হতো না।

বিশ্লেষণ অর্থমন্ত্রী, এই নিন টাকা পাচারকারীর তথ্য-প্রথম আলো

 সংসদ সদস্য পদ হারানো লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে আয় ও সম্পদের যে তথ্য দিয়েছিলেন, সেখানে বিপুলসংখ্যক আয়ের কোনো দৃশ্যমান উৎস দেখাননি। কিন্তু সাংসদ থাকা অবস্থায় মানব পাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির পুলিশ। এরপর কুয়েতের অপরাধ তদন্ত সংস্থা মানব পাচার এবং প্রায় ৫৩ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) পাচারের দায়ে মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। এরপর তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত।

Image Caption

২০১৮ সালে টাকার জোরে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম কেবল সাংসদই হননি, তাঁর স্ত্রীকেও সংরক্ষিত আসনের সদস্য বানিয়েছেন। এ জন্য বিপুল অর্থ লেনদেনের তথ্য সে সময়েই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। এই অর্থ লেনদেনের সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিলেন, সেই তথ্যও সবার জানা। কিন্তু একের পর এক তথ্য প্রকাশিত হলেও সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এ কারণেই হয়তো তাঁর অর্থ পাচারের তথ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও জানতে পারেননি। কুয়েত সরকারের কাছে ধরা না পড়লে আজ অর্থমন্ত্রীর পাশে বসেই তিনি সম্পূরক বাজেটের আলোচনা শুনতেন। এমনকি হয়তো টাকা পাচারের বিরুদ্ধে বক্তব্যও দিতেন।

এই তো গত ২৯ মে অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান স্ত্রীর নামে এক সাংসদের কানাডায় বাড়ি কেনার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, কানাডার টরন্টো থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে স্কারবোরো শহরে হেয়ারউড সড়কের ৭৩ নম্বর বাড়িটির মালিক বাংলাদেশি নাগরিক শামীমা সুলতানা ওরফে জান্নাতী। তাঁর নিজস্ব আয়ের কোনো উৎস নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্ট অনুযায়ী ‘গৃহবধূ’ শামীমা সুলতানা নাটোরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম ওরফে শিমুলের স্ত্রী। ১৪ লাখ ৫৬ হাজার কানাডীয় ডলারে বাড়িটি কেনা হয়, আর সব মিলিয়ে বাড়িটি কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। এই টাকা বাংলাদেশ থেকেই গেছে।

আজ জাতীয় সংসদে টাকা পাচার নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, আর অর্থমন্ত্রী জবাবে অর্থ পাচারকারীর তথ্য চাচ্ছিলেন, তখন নাটোরের ওই সাংসদ অধিবেশনকক্ষে ছিলেন কি না, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে টাকা কীভাবে পাচার করা হয়, অর্থমন্ত্রী চাইলে এখনো তাঁর কাছে প্রশ্ন করতে পারেন। বলে রাখা ভালো, আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘কারা অর্থ পাচার করে, সেই তালিকা আমার কাছে নেই। নামগুলো যদি আপনারা জানেন যে এঁরা এঁরা অর্থ পাচার করেন, আমাদের দিন।’

বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের কথা বেশি আলোচনার আর দরকার নেই। সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে একের পর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলের পরে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এখন তিনি কানাডায় বহাল তবিয়তে আছেন। তাঁর লোকজন কিন্তু এখন দেশে দাপটের সঙ্গেই আছেন, তিনি নিজেও সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়িয়েছেন। অর্থমন্ত্রী যদি চান, অন্তত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের কাছ থেকেও অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

অর্থমন্ত্রীকে আরেকটি সহজ উৎসের কথা বলা যায়। যেমন তাঁরই সহকর্মী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গত নভেম্বরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে, তার কিছুটা সত্যতা তিনি পেয়েছেন। আর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি। টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া ২৮টি ঘটনার মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,‘প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করেছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেল, রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া কিছু ব্যবসায়ী আছেন।’ সুতরাং অর্থমন্ত্রী অন্তত ২৮ জন পাচারকারীর নাম তো চাইলেই জানতে পারবেন।

প্রসঙ্গক্রমে আরও জানিয়ে রাখি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরেই হাইকোর্ট বিষয়টি নজরে এনে তথ্য চাইলে দুদক আদালতকে তথ্য দেয় গত ১৭ ডিসেম্বর। এ সময় অর্থ পাচারের অপরাধে ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত দুদক কতগুলো মামলা করেছে, কতগুলো অভিযোগ তদন্ত করেছে, কত টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এনেছে, প্রতিবেদনে সেসব তুলে ধরেছিলেন দুদকের আইনজীবী। এ সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এগুলো তো আগে করছেন। পুরাতন কাহিনি বলে তো লাভ নাই। ২২ (নভেম্বর) তারিখের পর কী করেছেন?’

২২ নভেম্বরের পরে যে কী হয়েছে, তা আসলে কেউই জানি না। জানলে কি আর অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীর নাম জানতে চাইতেন?

বরং একটি সন্দেহের কথা বলি। আসলেই কি টাকা পাচারকারীর নাম আমরা জানতে চাই? নাম জানার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি কখনো কোনো সরকার নিয়েছে? পাচার করা অর্থ ফেরত আনার প্রসঙ্গ এলেই তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের নাম বলা যায়। এরপরে কি আর কোনো উদাহরণ আছে? জাতীয় সংসদেই ২০১৪ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার আমানতকারীদের তালিকা চেয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারকে অনুরোধপত্র পাঠাবে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কথাও বলেছিলেন। গত সাত বছরে কি এর কোনো অগ্রগতি আছে? টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কী করছে, অর্থমন্ত্রী কি কখনো জানতে চেয়েছেন? এ নিয়ে তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও কি হয়েছে?

একটা প্রস্তাব দিতে পারি। প্রকল্পের নামে অহেতুক বিদেশ সফর নিয়ে আজকাল অনেক সমালোচনা হচ্ছে। টাকা পাচারকারীর তথ্য জানতে বিদেশ সফরের ব্যবস্থা করলে কেমন হয়? একটা দল যেতে পারে কানাডায়, সেখানকার বেগম পাড়ায় কিন্তু তাঁরা অবশ্যই যাবেন। সেখানে কার কার নামে বাড়ি কেনা আছে, সেই তথ্য সহজলভ্য, আনুষ্ঠানিকভাবেই পাওয়া যায়। আরেকটি দল যেতে পারে থাইল্যান্ডে। সেখানে দেশের একটি বড় শিল্প গ্রুপের বিশাল সাম্রাজ্য আছে। একটি দল যোতে পারে সিঙ্গাপুরে, সেখানে এক বড় ব্যবসায়ী একাধিক পাঁচ তারকা হোটেল কিনে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। এভাবে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনও সফর করা যেতে পারে। এই সফরকারীরা যদি সত্যিকার অর্থেই সদিচ্ছা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে কাজটি করেন, তাহলে অন্তত এই বিদেশ সফরে জনগণ আপত্তি করবেন না। আর অর্থমন্ত্রীও টাকা পাচারকারীদের নাম জানতে পারবেন।না হয় নাম জানতে পারলেন, কিন্তু নাম নিয়ে তারপর কী করবেন অর্থমন্ত্রী?

৫ বছরে অর্থ পাচারের ১০২৪টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ-বাংলাদেশ

গত পাঁচ বছরে বিদেশে অর্থ পাচারের ১ হাজার ২৪টি ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরেই ঘটেছে অর্ধেকের বেশি অর্থ পাচারের ঘটনা।

এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।

স্বাস্থ্য প্রশাসনে উপযুক্ত লোকের পদায়ন নেই ,দুর্নীতির মূলেও রয়েছে অব্যবস্থাপনা-ইত্তেফাক

স্বাস্থ্যখাতে চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনে যোগ্য লোকের উপযুক্ত স্থানে পদায়ন হচ্ছে না। তদ্বির ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন। মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্য প্রশাসনে সমন্বয়ের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রশাসনও চলছে ইচ্ছামতো। দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে আসছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবাসহ প্রশাসনিক কর্মকান্ড। দুর্নীতির মূলেও রয়েছে অব্যবস্থাপনা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে চিকিত্সা সেবা, শিক্ষা ও প্রশাসনের সঠিক স্থানে উপযুক্ত ব্যক্তিদের বসাতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৫০ বছর আগের কাঠামো দিয়ে আধুনিক যুগে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চলবে না।

সময়মতো আন্দোলনের ডাক দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বিএনপিকে আন্দোলনের কথা বলেন।  ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিএনপি আন্দোলন করেছে। জনগণ সারা দেশ বন্ধ করে দিয়েছিল। বিএনপি সময় হলে আন্দোলন করবে। এখনো আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সময় আসেনি। সময় হলেই আন্দোলনের ডাক আসবে। ছাত্র-যুবকরা মাঠে না নামলে সফলতা কঠিন। ছাত্র-শ্রমিক-যুবক-তরুণদের সংগঠিত করে তাদের নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থান হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, রাজপথে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরাজিত হবে, অবশ্যই হবে। তা তরুণরাই পারবে। যেকোনো পরিবর্তনে তাদেরকেই সামনে আসতে হবে।

কী কারণে বাড়ছে বজ্রপাত, কেন বাড়ছে মৃত্যু-যুগান্তর

পাঁচ দিন পরেই বর্ষা। তার আগেই চলছে ঝড়বৃষ্টির দাপট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে-ঘাটে-ছাদে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বজ্রাঘাতে প্রতিদিন অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মহামারির মধ্যে ঘরবন্দী থাকার পরও  বজ্রঝড়ে কৃষক, জেলে, তরুণ ও কিশোরের মৃত্যু থামছে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বজ্রপাতের তীব্রতা বেড়েছে। ‘ইভেন্টের পার্টিকুলার ডে বা শর্ট পিরিয়ডে’ বেশি বজ্রপাত বৈশিষ্ট বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে বজ্রপাতের এমন ঘটনাকে ‘শর্ট লিফট লাইটেনিং ফেনোমেনা’ বলা হয়- এর ঘনঘটা বাড়ছে। বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ যেমন বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য, তেমনই আর একট কারণ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত দূষণ। দূষণের মাত্রা যত বাড়ছে, গড় তাপমাত্রা তত বাড়ছে। ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

বজ্রঝড়ের সময় সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বজ্রপাতের ভয় থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও কেন এত বাড়ছে? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেখা যাচ্ছে শহরের থেকে গ্রামীণ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। ফাঁকা মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। এর অন্যতম কারণ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করা উন্নত যন্ত্রপাতি। বর্তমানে চাষের কাজে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেশি হয়। আর এই সব যন্ত্রে বিদ্যুৎ আকর্ষিত হয়। সেই সঙ্গে ফাঁকা মাঠে কোনও উঁচু জায়গা না থাকায় মানুষের উপর বজ্রপাতের ঘটনা অনেক বেশি হচ্ছে।

বজ্রপাতের এ দুর্যোগে প্রাণহানি ও আহত হওয়া ঠেকাতে মানুষের সচেতনতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পর্শের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে। 

এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরুর অন্তত আধ ঘণ্টা সময় সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবদুল মান্নান বলেন, ঊর্ধ্বাকাশে এখন প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। এ সময় উত্তর থেকে ঠাণ্ডা হাওয়াও ধাবমান। একদিক থেকে গরম ও আর্দ্র হাওয়া আর অন্য দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস- এমন পরিস্থিতে বজ্রপাতের ঘটনাই স্বাভাবিক, যা কয়েক ঘণ্টার স্বল্প সময়ের মধ্যে তীব্র রূপ নেয়।

তিনি জানান, সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে বজ্রপাতের প্রবণতা দেখা যায়। সেই সঙ্গে মৌসুমগত আবহাওয়ার পবির্তনের সময়েও বজ্রপাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এ জন্যে জুন-জুলাইয়েও বজ্রপাতের বড় ঘটনা ঘটে থাকে।

টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলন-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীর গড় খরচ ৫ লক্ষাধিক টাকা-মানবজমিন

দেশের ৮০ শতাংশ জনসংখ্যাকে কিভাবে কত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ আহ্বান জানিয়েছে। ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলা: কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,  অনেক কোভিড-ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করার ফলে আইসিইউসহ চিকিৎসা সংকট ছিল। করোনা সংক্রমণের একবছর তিনমাস অতিবাহিত হলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি চিকিৎসা সুবিধার সম্প্রসারণ করা হয়নি। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত ৬৬৪টি সরকারি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ঢাকা শহরে ৩৭৪টি, চট্টগ্রাম শহরে ৩৩টি এবং বাকি ৬২ জেলায় ২৫৭টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। বাজেট এবং যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সকল জেলায় ১০টি করে আইসিইউ শয্যা প্রস্তুতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় নি। অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০০ আইসিইউ শয্যা, ১৬৬ ভেন্টিলেটর, ৩৩৫ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা।

সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সংকটের কারণে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে সাধারণ জনগণ এবং একজন কোভিড-১৯ রোগীর গড় খরচ ৫ লক্ষাধিক টাকা।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, টিকার প্রাপ্তি, মজুদ ও টিকা প্রদানের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। বাফার স্টক সংরক্ষণে দূরদর্শিতার ঘাটতি ছিল, ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৩ লাখের বেশি টিকাগ্রহীতার দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টিকা পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞ/কর্তৃপক্ষের বাইরে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতাও লক্ষণীয়।

অস্বাস্থ্যকর বাতাস, ঢাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে-মানবজমিন

কমছে না ঢাকার বায়ুদূষণ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সর্বশেষ হালনাগাদ করা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৮। বাতাসের এই গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। কারণ, একিউআই স্কোর যখন ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বাতাসের গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অর্থ ঢাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই এখন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। তাছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিরা আরো মারাত্মক সমস্যা ভোগ করতে পারেন।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) হলো বাতাসের গুণগত মানের নিত্যদিনের একটি সূচক। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে জানানো হয় যে, তারা একটি নির্দিষ্ট শহরে কতোটা পরিষ্কার বা দূষিত বাতাসের মধ্যে বসবাস করছেন। এতে তাদের শরীরে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়েও জানান দেয়া হয়।।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি ক্ষতি? মেলেনি প্রমাণ, আশ্বাস কেন্দ্রের

করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়লে সবথেকে বেশি সংক্রমিত হবে শিশুরাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই একটি সম্ভাবনাই দেশের সমস্ত অভিভাবকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা একলাফে অনেকটা বেড়ে যাবে? প্রথম দু’টি ঢেউয়ে কিন্তু শিশুরা সেই অর্থে সেভাবে আক্রান্ত হয়নি। সেই নিয়ম কি ভেঙে যাবে তৃতীয় ঢেউয়ে? এবার সকলকে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হল, এমন কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত মেলেনি যা থেকে এমনটা বলা যায়।

করোনার কারণে বাতিল হয়েছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। ফলে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল দিনহাটার মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2021) পরীক্ষার্থী। ধারনা হয়েছিল, জীবনের আর কোনও স্বপ্নই হয়তো পূরণ হবে না। পরিণতি হল মর্মান্তিক। ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ।

অমিত শাহর বাড়িতে জরুরি বৈঠক সারলেন শুভেন্দু, বিকেলে সাক্ষাৎ নাড্ডার সঙ্গে-আনন্দবাজার সংবাদপ্রতিদিনসহ কয়েকটি দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে,দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও বৈঠক করার কথা শুভেন্দুর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বুধবার তিনি বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের  নামে নালিশ করেছেন শুভেন্দু। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের নিজেই একথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে চলছে না রাজ্য প্রশাসন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ