সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ ১৩:২৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১১ সেপ্টেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • এদের চাকর-বাকরের গুণাবলিও নেই: জাফরুল্লাহ চৌধুরী -প্রথম আলো
  • নারীপাচারে নতুন ফাঁদ -কালের কণ্ঠ
  • নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে একমত বাংলাদেশ-বৃটেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ -মানবজমিন
  • আফগানিস্তানে ‘নতুন ড্রোনে’ হামলার হুমকি যুক্তরাজ্যের -যুগান্তর
  • এমএলএম কোম্পানির ফাঁদে ফেলে শত কোটি টাকার প্রতারণা: র‌্যাব -ইত্তেফাক

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • দূষণে বিপন্ন ‘সবুজ গ্রহ’, জলবায়ু রক্ষার তাগিদে ভারতে আসছেন বিশেষ মার্কিন দূত -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘মাদক জেহাদে’র অভিযোগ, বিতর্কে কেরলের যাজক -সংবাদ প্রতিদিন

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

এদের চাকর-বাকরের গুণাবলিও নেই: জাফরুল্লাহ চৌধুরী-প্রথম আলো

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি চাকর-বাকরের কাছে ক্ষমা চাইছি। এ রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের চাকর-বাকরের গুণাবলিও নেই।’

 আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন৷ ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।৭ সেপ্টেম্বর ডয়চে ভেলে বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাফরুল্লাহ চৌধুরী মির্জা ফখরুল সম্পর্কে বলেছিলেন, বেচারা বাড়ির চাকর-বাকরের মতো আছে। সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে আজকের সভায় জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে আমার রাজনৈতিক স্নেহাস্পদ ব্যক্তিরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন। তাঁদের চাকর-বাকরের সঙ্গে তুলনা করেছি। আমি চাকর-বাকরের কাছে ক্ষমা চাইছি। এ রাজনৈতিক কর্মীদের চাকর-বাকরের গুণাবলিও নেই। তাঁদের না কবজিতে জোর আছে, না মাথা ঘোরানোর অধিকার আছে। বাড়িতে চাকর-বাকরকে যেভাবে ইচ্ছা অত্যাচার করেন, একসময় ঘাড় ত্যাড়া করে বলে যে “থাকুক আপনার চাকরি, বাড়ি চইলা গেলাম।” এই রাজনৈতিক কর্মীদের একজনেরও তা নেই। চাকর-বাকর ভাইয়েরা, আপনাদের আমি ছোট করেছি, আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি তারেক রহমানের জায়গায় জাইমা রহমানকে ক্ষমতা দিতে বলিনি। বলেছি, তাঁকে (জাইমা) রাজনীতি শিখতে দিন, রাজপথে আসতে বলেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হলে রাজপথে হাঁটতে হয়। অনেকে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছেন বলে দুঃখিত। আমার বয়স হয়েছে, এটা একদম সঠিক। কিন্তু কথায় কথায় আমাকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয় না। কারণ আমার সততা ও সাহস। আমি জনগণের পক্ষের লোক, আমার অন্য কেউ নেই।প্রবীণ চিকিৎসক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার আবার ভয়ানক চক্রান্ত শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোটকে নতুন পদ্ধতিতে সর্বস্বান্ত করতে চাইছে। এখন সজাগ না হলে, বুদ্ধিজীবীদের সবাইকে সংগঠিত না করা হলে গণতন্ত্রের কবর তো হচ্ছেই, মাফিয়া রাষ্ট্রেরও জন্ম হচ্ছে। আমরা কেউ শান্তিতে থাকতে পারব না৷ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে৷ দেশে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে৷’

যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বড় শত্রু বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল৷  ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের’ দেখতে পান বলে জানান তিনি৷ এই শিক্ষক বলেন, ‘গণরুম একটা দাসত্ব, একটা জেলখানার মতো৷ যে ছাত্ররা দেশকে স্বাধীন করেছিল, আজকে তাদের প্রতিটি হলে জেলখানা বানিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে৷ গণরুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ লুটপাট, অত্যাচার ও নিপীড়ন করে যারা ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট৷ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল৷ এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

সভায় অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, ‘এখন যে শাসনে আমরা আছি, তা অদৃষ্টপূর্ব৷ খুব কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে জনগণকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে৷ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও কর্তাব্যক্তিদের পয়সা খাইয়ে এই শাসনের অংশীদার করে ফেলা হয়েছে৷ সুবিধাভোগী সবাই এই শাসন টিকিয়ে রাখতে চাইছে৷ এই ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে হলে ছাত্রসমাজের উত্থান প্রয়োজন৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি৷’

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘মানুষ যখন আগামী নির্বাচন নিয়ে সরব হয়েছেন, তখন বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ধরপাকড় শুরু হয়ে গেছে৷ এই সরকার আতঙ্কিত বোধ করছে৷ সময় ঘনিয়ে আসছে—এটা বুঝতে পেরেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য মুগুরের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জীবিত থাকতে বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেব না৷

নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে একমত বাংলাদেশ-বৃটেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-মানবজমিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রভাব, বিধিবহির্ভূত আটক, বিধিবহির্ভূত বিচারপ্রক্রিয়া এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে বৃটেন। একই সঙ্গে উভয় দেশই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব, জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে সুশীল সমাজের উপস্থিতি ও মতপ্রকাশ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে একমত হয়েছে। ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশন জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত চতুর্থ স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগে উপরুল্লিখিত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যু, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কার্যকর মতবিনিময় হয়েছে বৃটেনের। বাংলাদেশ ও বৃটেন উভয়ে ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সশরীরে সাক্ষাতের সুযোগকে স্বাগত জানিয়ে সংলাপ শুরু হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে অনুষ্ঠিত এবারের কৌশলগত সংলাপ বৃটেন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করেছে। উভয় দেশের প্রতিনিধিরা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রবাসী সংযোগ ও কমনওয়েলথের সদস্যপদের কারণে মানুষের সাথে মানুষের সুদৃঢ় সম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে এফসিডিও এর বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উঠে আসা বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কিত কিছু বিষয় (যেমন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রভাব, বিধিবহির্ভূত আটক, বিধিবহির্ভূত বিচারপ্রক্রিয়া, এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) নিয়ে বৃটেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, উভয় দেশই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব, জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে সুশীল সমাজের উপস্থিতি ও মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে একমত হয়েছে। সংলাপে সংঘাত প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সমর্থন সহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একে অপরকে সহযোগিতা করতে বৃটেন ও বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।

আফগানিস্তান সংকট: তালেবান শাসন ভেঙ্গে পড়ার দ্বারপ্রান্তে আফগানিস্তান: জাতিসংঘ-মানবজমিন

তালেবানের অধীনে থাকা আফগানিস্তান পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। যদি দেশটির মধ্যে অর্থ প্রবাহিত করার কোনো রাস্তা খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয় আন্তর্জাতিক মহল তাহলে দ্রুতই এই পরিণতি ঘটবে দেশটির। গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেয় তালেবান। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপি বৃহ¯পতিবার আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে জানানো হয়েছে, দেশটির যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে তাতে দ্রুতই ৯৭ শতাংশ আফগান দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে।

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বাইরের দেশগুলোতে আটকে রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এই অর্থ আফগানিস্তানে প্রবেশ করতে রাস্তা খুঁজতে হবে। নইলে দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়বে।

আফগানিস্তানে ‘নতুন ড্রোনে’ হামলার হুমকি যুক্তরাজ্যের-যুগান্তর

নিজেদের উদ্ভাবিত নতুন ড্রোন ‘প্রটেক্টর’ দিয়ে হামলার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এ হুমকি দেন। খবর ডেইলি মেইল।খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে তালেবান সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, তাহলে দেশটির লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ড্রোন মোতায়েন করতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাজ্য।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার লিংকনশায়ারে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হুমকি ঠেকাতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে যুক্তরাজ্য। তালেবানদের অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুতিমাফিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।’তালেবান সরকারের শপথে থাকছে না রাশিয়া, স্বস্তি ভারতের-যুগান্তর

আফগানিস্তানে নতুন সরকার শনিবার শপথ নিতে যাচ্ছে। কাবুল দখলের ২২ দিন পর তালেবান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা দেয়। শপথ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, চীন ও ইরানসহ ছয় দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।তবে এরই মধ্যে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তালেবান সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না রাশিয়া।  ক্রেমলন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকের পর নয়াদিল্লির স্বস্তি বাড়িয়ে শুক্রবার ‘ক্রেমলিন’ এ সিদ্ধান্ত নেয়। 

কয়েক দিন আগেই রুশ সংবাদ সংস্থা ‘আরআইএ’ জানিয়েছিল, নতুন তালেবান সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। ব্রিকসের বৈঠকের পরই রাশিয়ার সিদ্ধান্ত বদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাইকে হত্যা করেছে তালেবান-ইত্তেফাক

আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ'র ভাই রোহুল্লাহ আজিজীকে হত্যা করেছে তালেবান। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন নিহতের ভাগ্নে এবাদুল্লাহ সালেহ। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল পতনের পর পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবান বিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম নেতা ছিলেন আমরুল্লাহ সালেহ। তালেবানরা অঞ্চলটি দখল করার কয়েকদিন পর সংবাদটি প্রকাশ্যে এলো।

তালেবান সরকারের সামনে ৬টি বড় চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর

নাটকীয়ভাবে কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসার ২১ দিন পর তালেবান তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। নতুন সরকারে আছেন তালেবানের বিখ্যাত সব নেতারা।

এই সরকার গঠনের আগে বহির্বিশ্ব থেকে আফগানিস্তানে একটা ইনক্লুসিভ সরকার অর্থাৎ সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা সার্বজনীন সরকার গঠনের জন্য চাপ দেয়া হয়েছিল তালেবানকে। তালেবানও সেরকম একটা সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছিল। একইভাবে সরকারে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিও ছিল তখন আলোচনায়। কিন্তু যে সরকার তারা গঠন করেছে তাতে তালেবানের বাইরে থেকে একজনও নেই।

মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মোট ৩৩ জনের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে শুধুমাত্র একজন উজবেক এবং তিনজন তাজিক বংশোদ্ভূত তালেবান।

এখন এই সরকার নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকেই। কেউ বলেছেন, এই সরকারকে আর যাই বলা হয় হোক কিন্তু একে ইনক্লুসিভ সরকার বা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার বলা যায় না। কেউ আবার এটাকে মোল্লাদের সরকারও বলেছেন। কেউ আবার বলেছেন জেল খাটাদের সরকার। অনেকে আবার মন্তব্য করছেনে এই সরকারের অনেকেই বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী তালিকায় আছেন।

তবে তালেবানের এই সরকারে বাইরে থেকে কাউকে কেন রাখা হয়নি মর্মে প্রশ্ন করলে তালেবানের মুখপাত্র একটা দায়সারা গোছের জবাব দেন। তার মতে এখনো সরকারের অনেক পদ খালি আছে যেগুলোতে অন্যদের নেয়া যেতে পারে। আর এটা যেহেতু একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাই এটা অস্থায়ী। এরপর যখন স্থায়ী সরকার গঠন হবে তখন তাদেরকে নেয়া হবে। কিন্তু এগুলো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যেমন, মন্ত্রিপরিষদের ৩৩ জনের নাম ঘোষণা হয়েছে।

সব গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে। আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদটাই বা বাকি আছে? তাছাড়া এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকাল কতদিন হবে? পরিবর্তী সরকার কিভাবে নির্ধারণ হবে? তালেবান যেহেতু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না তাই জনগণের নির্বাচিত করার কোন বিষয় এখানে আসবে না। তাহলে একটাই অপশন থাকে তাহলো তালেবানই নির্ধারণ করবে আগামী সরকার। আর তখন সে সরকারেও অন্যদের স্থান হওয়ার সম্ভবনা কম।

এখন এই সরকার গঠনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রভাব এবং ফলাফল কী হবে? কোন কোন দেশ এই সরকারকে সমর্থন দেবে কোন কোন দেশ স্বীকৃতি দিবে? দেশের মধ্যে শান্তি ফিরে আসার সম্ভবনা কতটুকু? এরকম অনেক প্রশ্ন এবং চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তালেবান সরকার।

প্রথম চ্যালেঞ্জ: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ: অর্থনীতি

তৃতীয় চ্যালেঞ্জ: খাদ্য নিরাপত্তা

চতুর্থ চ্যালেঞ্জ: আইন-শৃঙ্খলা

পঞ্চম চ্যালেঞ্জ: কাবুল এবং কাবুল বিমানবন্দর

ষষ্ঠ চ্যালেঞ্জ: দুর্নীতি দমন

বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন চুরমার-মানবজমিন

বড় স্বপ্ন বড় আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল চিলমারী কৃষক। ফসল ফলিয়ে দেখবে সুখের আলো। কিন্তু সব স্বপ্ন সব আশা নিমিষেই ভেঙ্গে দিল বন্যা আর টানা বৃষ্টি। বন্যার থাবায় চোখের সামনে ফসল নষ্ট হতে দেখে নীরবেই কষ্ট আর দুঃখে কাটাচ্ছে কৃষকের দিনকাল। বানের পানি শুকানো শুরু করলেও শুকায়নি কৃষকের চোখের জল। ৩৫০০ হেক্টর ক্ষতিতে লোকসান গুনছে প্রায় ২৫ হাজার কৃষক।

জানা গেছে, আমন চাষের শুরুতে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ছিল খড়া আর অনাবৃষ্টির কবলে। সময় পেরিয়ে রোদ আর খড়া মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছিল কৃষক। মাঠে মাঠে আমন চাষে ভরে গিয়েছিল, মন ভরে শান্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিল কৃষক।কিন্তু শান্তি আর সুখে হঠাৎ হানা দেয় বানের পানি। কৃষকরা যখন খড়ার মধ্যেই সেচ নিয়ে চাষ শেষ করেছিল ঠিক সেই সময় হঠাৎ বন্যা আর টানা বৃষ্টি তাদের স্বপ্ন আর বুক ভরা আশা নিমেষেই ডুবে নেয়। ডুবতে ডুবতে প্রায় ৫হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। সেই সাথে ডুবে যায় হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন। নষ্ট হয়ে যায় সকল আশা। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার প্রায় ৩৫০০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতিতে প্রায় ২৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও কৃষকদের মতে এর চেয়েও বেশি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এমএলএম কোম্পানির ফাঁদে ফেলে শত কোটি টাকার প্রতারণা: র‌্যাব-ইত্তেফাক

এমএলএম কোম্পানির নামে ১০ হাজার সদস্যকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন রাগীব আহসান (৪১)। শরিয়া ভিত্তিতে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব টাকা দিয়ে নিজসহ আত্মীয় স্বজনের নামে জমি-জমা কেনেন তিনি।

সদস্য সংগ্রহে মাঠ পর্যায়ে ৩০০ জন কর্মী ছিল তার। ২০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার নামে তাদের নিয়োগ দিলেও তা মেটাতেও ব্যর্থ হন রাগিব। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি জেলায় মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভসহ মামলাও হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকা থেকে রাগীব আহসান ও তার ভাই মো. আবুল বাশারকে (৩৭) গ্রেফতার করে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার বিকালে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ শহরতলীর খলিশাখালী গ্রামের বাড়ি থেকে এহসানের অপর দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র‌্যাব-১০ ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা মিলে দুজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রাগীব আহসান তার প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাগীব আহসান ১৯৮৬ সালে পিরোজপুরের একটি মাদরাসায় অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি হাটহাজারীর একটি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস ও খুলনার একটি মাদরাসা থেকে মুফতি সম্পন্ন করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, পড়াশোনা শেষে পিরোজপুরে একটি মাদরাসায় চাকরি শুরু করেন। ২০০৬-২০০৭ সালে ইমামতির পাশাপাশি ‘এহসান এস মাল্টিপারপাস’ নামে একটি এমএলএম কোম্পানিতে ৯০০ টাকা বেতনের চাকরি শুরু করেন। মূলত এই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে এমএলএম কোম্পানির আদ্যপ্রান্ত রপ্ত করেন। পরবর্তীতে নিজে ২০০৮ সালে ‘এহসান রিয়েল এস্টেট’ নামে একটি এমএলএম কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তিনি মূলত ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে অপব্যবহার করে এমএলএম কোম্পানির ফাঁদ তৈরি করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ, ইমাম শ্রেণি ও অন্যান্যদের টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন। তিনি শরিয়ত সম্মত সুদবিহীন বিনিয়োগের বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণা করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেন। এছাড়াও তিনি ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের নামে ব্যবসায়িক প্রচার প্রচারণা করতেন। তিনি লাখ টাকার বিনিয়োগে মাসিক মাত্রাতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তির প্রলোভন দেখায়। তার প্রতিষ্ঠানটি আত্মীয়দের মাধ্যমে পরিচালনা করতেন। শ্বশুর প্রতিষ্ঠানের সহসভাপতি, বাবা উপদেষ্টা ও ভগ্নিপতি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। এছাড়া রাগীব আহসানের ৩ ভাইয়ের মধ্যে গ্রেপ্তার আবুল বাশার প্রতিষ্ঠানের সহপরিচালক, বাকী দুই ভাই প্রতিষ্ঠানের সদস্য।

বাংলাদেশ তালেবানী রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে-মানবজমিন

পরীমনিকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়তো আরো বিলম্বিত হতো। বাংলাদেশ তালেবানী রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে।

বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেছেন। শুক্রবার এফডিসিতে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নীরব ভূমিকা আছে। পরীমনিকে অন্যায়ভাবে বারবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আদালতের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। পরীমনির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, বিনোদন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরীমনিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে।

সেটা না হলে এদেশের শোবিজে যুক্তরা এই পেশায় টিকে থাকতে পারবেন না। পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। তবে তার পক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও বর্তমানে জনমতের প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে।

নারীপাচারে নতুন ফাঁদ-কালের কণ্ঠ

নারীপাচারকারীরা কৌশল পাল্টে এখন মাজারকে নিশানা করেছে। দেশের বিভিন্ন মাজারে আসা-যাওয়া করা নারী, যাঁরা বয়সে তরুণী, তাঁদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচারের নতুন ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপ ব্যবহার করে তৈরি নাটক, সিনেমায় অভিনয়ের কথা বলে তরুণীদের ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পাচারকারীরা এখন ধর্মীয় লেবাসে অপকর্মে নেমেছে। মাজারকেন্দ্রিক পাচারকারীচক্র নারীদের ভারতের আজমির শরিফ দরগাহ জিয়ারত করে পুণ্য লাভ করার বা চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফাঁদে ফেলছে। এভাবে পাচারের শিকার দুই তরুণীকে সম্প্রতি দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

এই দুই তরুণীকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা রাখে ‘রাইটস যশোর’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠন। 

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘মাদক জেহাদে’র অভিযোগ, বিতর্কে কেরলের যাজক-সংবাদ প্রতিদিন

অমুসলিম তরুণ-তরুণীদের মাদকের নেশায় বুঁদ করিয়ে তাঁদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে কেরলের মুসলিমদের একাংশ। তাঁদের এই অভিযানের নাম ‘নারকোটিক জেহাদ’ বা ‘মাদক জেহাদ’। কেরলের মার্থ মারিয়াম পিলগ্রিম চার্চে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পালাই বিশপ জোসেফ কাল্লারাঙ্গাট‘নারকোটিক জেহাদ’ (Narcotics Jihad) নিয়ে তাঁর ব‌্যাখ‌্যা, “লাভ জেহাদের মতোই মুসলিমদের আর একটি জিহাদ হল ‘মাদক জেহাদ’। এই জিহাদে ওদের টার্গেট অমুসলিম যুবকরা। হিন্দু, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কমবয়সি ছেলেমেয়েদের মাদকাসক্ত করতে মাদক মেশানো আইসক্রিম পার্লার, জুস সেন্টার খুলেছে কট্টরপন্থী জেহাদিরা। তারা রেভ পার্টি চালাচ্ছে। সেখানে মাদক সরবরাহ করছে।” অমুসলিম কিশোর-কিশোরীদের সতর্ক করতে যাজক জানান, জেহাদিরা স্কুল-কলেজের কাছাকাছি আইসক্রিম পার্লার, সফট ড্রিংকের দোকান খুলছে। আর সেখানে অমুসলিম পড়ুয়ারা খেতে এলেই তাদের খাবারে মাদক মেশাচ্ছে। নেশায় আসক্ত হয়ে কেউ কেউ পড়া ছেড়ে দিচ্ছে। কারও চাকরি চলে যাচ্ছে। সকলের ভবিষ‌্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার মাদকাসক্ত হলে জেহাদিরা তাকে মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এভাবে কেরলের কয়েকজন অমুসলিম কিশোরী ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়। তারপর আফগানিস্তানে গিয়ে আইএস জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, “কেরলের যুব সম্প্রদায় এক ভয়াবহ সময়ের মধ‌্য দিয়ে যাচ্ছে। অমুসলিমদের বিলুপ্ত করা ও নিজেদের ধর্মের সম্প্রসারণ করাই টার্গেট জেহাদিদের। জঙ্গিরা বুঝে গিয়েছে, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে হিন্দু, খ্রিস্টানদের মতো সম্প্রদায়কে অস্ত্রের সাহায্যে ধ্বংস করা যাবে না। তাই লাভ জেহাদ ও মাদক জেহাদ করছে।” এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে জেহাদিরা ‘নারকোটিক জিহাদ’ পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও তরুণ-তরুণীকে জঙ্গি দলে নাম লেখাতে অনুপ্রাণিত করবে বলে সতর্ক করেছেন ওই যাজক।

অন‌্যদিকে বিশপ জোসেফ কাল্লারাঙ্গাটের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কেরলের বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন। সুন্নি ছাত্র ফেডারেশনের দাবি, বিশপ প্রমাণ দিক, তারপর অভিযোগ করুন। আবার বিশপের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণ করার অভিযোগও করেছে অনেকে।

দূষণে বিপন্ন ‘সবুজ গ্রহ’, জলবায়ু রক্ষার তাগিদে ভারতে আসছেন বিশেষ মার্কিন দূত-আনন্দবাজার/সংবাদ প্রতিদিন

আধুনিক সভ্যতার মারে ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে ‘সবুজ গ্রহে’র প্রাণশক্তি। অপরিকল্পির শিল্পায়নের জেরে বাতাসে ভাসছে বিষ। তাই জলবায়ু রক্ষার তাগিদে এবার ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) বিশেষ দূত জন ক্যারি।মার্কিন বিদেশ দপ্তরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ নয়াদিল্লিতে পৌঁছবেন জন ক্যারি। দু’দিনের এই সফরকালে জলবায়ু রক্ষা (Climate change) নিয়ে ভারত সরকারের শীর্ষনেতৃত্ব ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। মূলত, ‘ক্লিন এনার্জি’ বা দূষণমুক্ত বিদ্যুত উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েই আলোচনা চালাবেন মার্কিন বিশেষ দূত বলে খবর। বলে রাখা ভাল, ভারত -সহ দ্বিতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বিদ্যুত উৎপাদন বা শিল্পায়নের জন্য কয়লা ও অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরশীল। ফলে এই দেশগুলিতে দূষণের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি। কিন্তু এবার পরিবেশের রক্ষার তাগিদে সৌরশক্তি-সহ হাওয়া ও জলবিদ্যুৎ তৈরিতে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪

ট্যাগ