অন্ধকার জীবন
মেয়েরা কেন বেশি ডিভোর্স দিচ্ছে! শিউলি বেগমের অন্ধকার জীবন!
শ্রোতা/পাঠক!১২ সেপ্টেম্বর রোবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- মতামত পুরোনো তালেবান ফিরে এসেছে-প্রথম আলো
- বিএনপিতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল-যুগান্তর
- মেয়েরা কেন বেশি ডিভোর্স দিচ্ছে, কারণ অনুসন্ধান দরকার-ইত্তেফাক
- কাজের খোঁজে রাজধানীতে, অতঃপর অন্ধকার জীবন অনেক নারীকে পাচার করা হচ্ছে বিদেশে-কালের কণ্ঠ
- সর্বস্বান্ত সাধারণ মানুষ রাজধানীতে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য -মানবজমিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- ‘প্রমাণ হল তো! রূপাণীর বিদায় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে জেল খাটা সাংবাদিক শেষে মুখ খুললেন-আনন্দবাজার
- ‘মমতা মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে তৃণমূল পার্টিটা উঠে যাবে’!ভবানীপুরে আমরাই জিতেছি, ঘোষণা দিলীপের-আজকাল
- হিন্দু ভোট কাটাকাটিই লক্ষ্য! যোগীর উত্তরপ্রদেশে ১০০ আসনে লড়বে শিব সেনা-সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একটি শিরোনাম হলো- মোবাইল গেমস খেলতে না পারায় স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা। পত্রিকাটির আরেকটি শিরোনাম হলো-মোবাইল আসক্তি থেকে বখাটেপনায় উঠতি বয়সীরা। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন আপনি?
২. আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-কে রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানাল ইরান। ইরান কেন এই আহ্বান জানাচ্ছে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
আজ স্কুল-কলেজে ফিরছে শিক্ষার্থীরা-ইত্তেফাক
টানা প্রায় ১৮ মাস বন্ধের পর আজ রবিবার খুলেছে দেশের সব স্কুল ও কলেজ। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও কোনো কোনো অভিভাবকের মধ্যে ভর করেছে আতঙ্কও। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী; যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তাদের জন্য আজই হলো স্কুল-কলেজের প্রথম দিন।
সর্বস্বান্ত সাধারণ মানুষ রাজধানীতে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য-মানবজমিন
‘উনাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন? ঢাকা মেডিকেলেই তো ভালো ছিল’ রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সংজ্ঞা হারানো এনামুল হকের অসহায় স্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ‘কি করবো? ঢাকা মেডিকেলসহ তিনটি হাসপাতাল ঘুরে শেষে এখানে এনেছি। কেউ রাখতে চায়নি-এনামের স্ত্রীর জবাব।
ঘটনা ৫ই সেপ্টেম্বরের। নিত্যদিনের মতো ৬ বছরের ছোট মেয়েকে আদর করে, পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে বনশ্রীতে অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ‘রাজধানী সুপার’ নামক বাসে চড়েন এনাম। নতুনবাজার থেকে বনশ্রী পৌঁছতে প্রতিদিন সাধারণত ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। কিন্তু সেদিন প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে বনশ্রীতে পৌঁছেন এনাম। বিধ্বস্ত, ধুলিমাখা এক অন্য এনামকে আবিষ্কার করেন সহকর্মীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্ঞান হারান এনাম। এর পরদিন কিছুটা সুস্থ হয়ে কথা বলছিলেন এনাম। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে জানা গেল, তার পকেটে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা এবং দুটো দামি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। কীভাবে কি হলো, কিছু কি মনে পড়ছে? ‘আমার বাসে উঠার পর থেকে আর কিছুই মনে নেই। এরপর হাসপাতালে নিজেকে দেখে খুব অবাক হই।’ কিছুই কি মনে নেই? এনামের কিছু মনে না থাকলেও কিছুটা মনে আছে হৃদয়ের। এশিয়ান টিভির ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় দাসকে ১৮ই আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গাবতলী থেকে উদ্ধার করা হয়। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি নিকেতনের অফিসে যাবেন বলে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরা ব্রিজের উদ্দেশ্যে ওই একই বাস অর্থাৎ ‘রাজধানী সুপার’-এ চড়েছিলেন। গাবতলীতে অচেতন হৃদয়ের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র থেকে তার অফিসে যোগাযোগ করা হলে অফিসের লোকজন তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সেদিন রাতেই তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলেও প্রথম তিন-চারদিন তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারছিলেন না। মনে করতে পারছিলেন না কি হয়েছে তার সঙ্গে। ধীরে ধীরে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেন হৃদয়।
মানবজমিনের অপর একটি অপরাধ বিষয়ক খবর-ইরাকে মানব পাচার লিটনের মিশন-মানবজমিন
ইরাকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণ-তরুণীদের সংগ্রহ করা হতো। তারপর তাদেরকে ভিজিট ভিসা দিয়ে প্রথমে দুবাই পরবর্তীতে নেয়া হতো ইরাকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জিম্মি করে রাখা হতো কিছুদিন। পরে তরুণদের নির্যাতন করে আদায় করা হতো টাকা। আর তরুণীদের বিক্রি করে দেয়া হতো দালালদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে
বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের ইরাকে পাচার করে আসছিল। বলা হতো চাকরিতে ভালো বেতন। অথচ তাদের জীবনে নেমে আসতো অন্যরকম পরিস্থিতি।সম্প্রতি ইরাকে পাচার হওয়া কয়েকজন পালিয়ে দেশে এসে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ তাদের নিজস্ব গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা ও মিরপুর থেকে মধ্যপাচ্য ভিত্তিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম হোতা লিটন ওরফে ডা. লিটন (৪৪) ও তার সহযোগী আজাদকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক পাসপোর্ট, মাদক। লিটনের ব্যবহৃত গাড়িও উদ্ধার করা হয়। লিটন একাই ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী পাচার করেছে।
গতকাল কাওরান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারী পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের মূল হোতা হচ্ছে লিটন ওরফে ডা. লিটন। এই চক্রে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে ৫ থেকে ৭ জন ইরাকে অবস্থান করছে। চক্রটি টার্গেট করে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ যেমন হাসপাতালের নার্স, বিউটি পার্লারে কাজ করা নারীদের। এছাড়া তারা বিদেশে বিভিন্ন সুপারশপে কাজ করার প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পাচার করে। তিনি বলেন, চক্রটি শুধু নারী পাচারই করে না। লিটন ২০০-২৫০ জন তরুণকে বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে পাচার করেছে। পরবর্তীতে তাদেরকে কোনো কাজ দিতে না পেরে সেইফ হাউজে জিম্মি করে রাখে। জিম্মি অবস্থায় তাদের কাছ থেকে নির্যাতন করে টাকা আদায়ও করেছে। পাচারের জন্য তারা দেশ থেকে বিভিন্নভাবে তরুণ-তরুণীদের সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা চট্টগ্রাম, ঢাকা, ঝালুকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে প্রতারিত করেছে।তিনি বলেন, কৌশল হিসেবে তারা তরুণ-তরুণীদের সংগ্রহ করে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই পাঠাতো। দুবাই থেকে আবার ভিজিট ভিসার মাধ্যমে ইরাক নিয়ে যেত। ইরাকে অবস্থানকালে তাদেরকে চাকরি দেয়ার নাম করে জিম্মি করে রাখতো। এভাবে চক্রটি এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ জন নারীকে পাচার করেছে। ইরাকে এই চক্রের ৬ থেকে ৭টি সেইফ হাউজ রয়েছে। সেইফ হাউজে তাদেরকে কয়েকদিন রাখার পর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। যাদেরকে ইরাকে নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে আগেই তিন লাখ টাকা করে নেয়া হতো। পরে ইরাকে নিয়ে ১৩০০ থেকে ১৫০০ দিরহামে দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়া হতো।
মেয়েরা কেন বেশি ডিভোর্স দিচ্ছে, কারণ অনুসন্ধান দরকার-বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম- ইত্তেফাক

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, গত দেড় বছর ধরে অতিমারির কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের দারিদ্র্য কিছুটা হলেও বেড়েছে। কর্মজীবী মানুষের উপার্জন হ্রাস পেয়েছে। এসব কারণেই পারিবারিক সহিংসতাগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে-কমে। ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখলাম, কীভাবে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যানে এসেছে যে, ৭০ শতাংশ ডিভোর্স নারীরা দিয়েছেন। এর কারণও অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে। ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনাকালে ৪৮ হাজার ২৩৩ জন নারী ও শিশু পারিবারিক ও অন্যান্য ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ শিশু রয়েছে। দেশের ৫৩ জেলায় ৬৫ হাজার মানুষের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে এই জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী রুমা সুলতানা এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, সরকারি আইনসহায়তা কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তৃত করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, যখন কোনো উপায় থাকে না তখনই একজন নারী ডিভোর্স দিয়ে থাকেন। এজন্য একজন নারীকে নানা কথা শুনতে হয়। এ সময় সেই নারী অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানে ১৯টি জেলার জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকেই তাদের জেলায় দেওয়া লিগ্যাল এইডের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
টিকা পেতে প্রবাসীদের ভোগান্তি বিক্ষোভ-মানবজমিন
সৌদি প্রবাসী মিলন হাওলাদার। ৮ই সেপ্টেম্বর ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থেকে ঢাকায় আসেন। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার টিকা নেয়ার তারিখ। ভোর থেকে টিকা নেয়ার জন্য অন্যান্যের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ান। ৫ ঘণ্টা লাইনে অবস্থান করেও টিকা পাননি। ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন তার মতো কয়েক শতাধিক প্রবাসী। যারা টিকার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। মিলন হাওলাদার মানবজমিনকে বলেন, নির্দিষ্ট দিনে টিকার জন্য এসেও টিকা পেলাম না।এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক একটা দিন যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে, সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার আশা ভঙ্গ হচ্ছে। এ নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যরাও চিন্তিত। ৯ই সেপ্টেম্বর করোনার টিকা দেয়ার তারিখ ছিল। সেদিন সকাল থেকে আনসার সদস্যরা আমাদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে। বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন আনসার সদস্য এসে জানায় প্রবাসীদের জন্য টিকা ঢামেকে পৌঁছায়নি। আমাদেরকে ১১ই সেপ্টেম্বর আবার সেখানে যেতে বলে। কিন্তু এদিনও আমাদেরকে টিকা দিতে পারেনি। কবে টিকা পাবো, সেটাও জানাতে পারেনি। আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টিকা নেয়ার জন্য ঢাকায় আসছি। এখানে আমাদের অনেক কষ্টে থাকতে হচ্ছে। আমরা হয়রানির শিকার হয়েছি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকাকেন্দ্রের সামনে প্রবাসীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
রাজনীতি ও আইন আদালতের খবর:
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে আরও ছয় মাস-যুগান্তর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার স্থায়ী মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুগান্তরকে বলেন, তার (খালেদা জিয়া) সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত দেয়া হয়েছে।
বিএনপিতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল-যুগান্তর
সারা দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। পুনর্গঠন ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের অবস্থা প্রকাশ্যে চলে আসছে। কমিটি দেওয়ার পর তা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। দাঁড় করানো হচ্ছে পালটা কমিটি। ঘটছে পদত্যাগের ঘটনাও। অনেকেই ক্ষোভে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। এই কোন্দলের পেছনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে নিজের অনুসারীদের যেকোনো মূল্যে নেতৃত্বে আনতে মরিয়া তারা। তদবির আর অনৈতিক উপায়ে সুবিধাবাদীরা চলে আসছে শীর্ষ নেতৃত্বে। বাদ পড়ছেন যোগ্য ও ত্যাগীরা। পুনর্গঠনের গতি বৃদ্ধির সঙ্গে ভবিষ্যতে এ কোন্দল আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। যা আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি মানতে নারাজ দলের নীতিনির্ধারকরা।
রাজনীতিতে নুতুন মেরুকরণ হবে-মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হবে। বিরোধী দলগুলো নিয়ে সর্ববৃহৎ ঐক্য ‘একমঞ্চ’ কিংবা ‘যুগপৎ’ যে কোনো প্ল্যাটফরমে আন্দোলন হতে পারে। যদি তা না হয়; কেউ না কেউ সামনে এগিয়ে যাবে এবং জনগণও তার পেছনে যাবে। দেশ এমন সংকটে যে, মানুষ পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এখন যারাই সরকার পতনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারবেন, জনগণ তাদের পেছনেই চলবে। গুলশানে নিজ বাসায় শুক্রবার যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আফগান ইস্যু: মতামত পুরোনো তালেবান ফিরে এসেছে-প্রথম আলো
আফগানিস্তান নিয়ে সব বুদ্ধিবৃত্তিক কসরত শেষ হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রকৃত সত্যটা চাপা দেওয়া যায়নি। দ্বিতীয় তালেবানের আখ্যান পুরোনো তালেবানের আকাঙ্ক্ষার বেদিতে বলি হয়েছে। এটি পশ্চিম ছাড়া আর কারও কাছেই অবাক হওয়ার মতো কোনো ব্যাপার ছিল না। বিশেষ করে আমেরিকা এখন অবাক হওয়ার চর্চা করছে। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের নেতৃত্বে এবং অন্য প্রভাবশালী নেতাদের নিয়ে আফগানিস্তানে একটি কট্টরপন্থী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে প্রথম দিকে আমেরিকা যে রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল, এটা সে রকমই একটা জোর ধাক্কা। ৩৩ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার থেকে এটা স্পষ্ট, কারা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তালেবান হয়তো অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের কাল্পনিক একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের এই প্রতিশ্রুতি সম্ভবত ওয়াশিংটনের ভালো বিশ্বাসযোগ্যতাও পেয়েছিল। নারী ও সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়া এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালউদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পরই আমেরিকার বোধোদয় হলো। আর অপমানের ষোলোকলা পূর্ণ হলো ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ২০তম বর্ষপূর্তির মাত্র কয়েক দিন আগে কাবুলের শাসনক্ষমতা সন্ত্রাসীদের হাতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
তালেবান কী করতে পারে, সেটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ ছিল না। কিন্তু আমেরিকান আমলাতন্ত্রের শাশ্বত গোলকধাঁধা থেকে আশা উত্থিত হচ্ছিল। তালেবানকে সঙ্গে নিয়ে তারা আইএস ও আইএসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করবে, এমন এক ধারণার জন্ম তারা দিয়েছে। বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তালেবান তাদের শত্রু কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তাঁর উত্তর ছিল, ‘তাদের ওপর একটা সিল লাগানো কঠিন। কারণ, আফগানিস্তানের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তারা আসলে কী করছে, সেটা দেখা এখনো বাকি।’ আফগানিস্তানের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তালেবান কী করবে, দুই দশক ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর সেটা বোঝা আমেরিকার জন্য কি যথেষ্ট নয়।
তালেবান এখন কী নিয়ে ব্যস্ত? আফগান জনগণের ওপর জুলুম করছে তারা। তালেবানের বর্বরতার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ আফগানরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ করছে। কাবুলের মিছিল থেকে ‘মুক্তি চাই’ স্লোগান ধ্বনিত হচ্ছে। এসব প্রতিবাদে নারীদের বড় অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
তালেবান শাসন শুরুর পর সমাজ ও রাজনীতিতে নিজেদের ক্রমবর্ধমান নাজুক পরিস্থিতি দেখতে পেয়ে নারীরা প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মওলানা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। জনগণকে সতর্কবার্তা দিয়েছে তালেবান, ‘সরকারি অফিস খোলা এবং প্রতিবাদ-সংক্রান্ত আইন ব্যাখ্যার আগপর্যন্ত’ কোনো প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এর মধ্য দিয়ে তারা স্পষ্ট করছে, তাদের শাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভিন্নমত সহ্য করা হবে না।
এদিকে বাইডেন প্রশাসন ধ্বংসাত্মক আফগান নীতির কারণে, তাঁর দেশে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। জো বাইডেনের ঘাড়ে যেন এটি আলবাট্রস পাখির মতো ঝুলে আছে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত//হর্ষ ভি পান্থ লন্ডনের কিংস কলেজের কিংস ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক।
কাজের খোঁজে রাজধানীতে, অতঃপর অন্ধকার জীবন-কালের কণ্ঠ
অভাবের তাড়নায় কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসেছিলেন স্বামী পরিত্যক্তা শিউলি বেগম। যাত্রাবাড়ী এলাকায় যেচে পরিচিত হন এক ব্যক্তি। তিনি চাকরির প্রলোভন দেখান। গ্রামের সহজ-সরল নারী কী করে জানবেন শহরের উজ্জ্বল আলোর নিচে অন্ধকারে ওত পেতে থাকে নারী পাচারকারী হায়েনারা! সরল বিশ্বাসে শিউলি লোকটির সঙ্গে যান। তারপর যাত্রাবাড়ীর শহীদ সরণি রোডের সামিউল্লাহ প্লাজায় অবস্থিত প্রভাতি আবাসিক হোটেলে শিউলির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। দুই মাসের বেশি সময় ধরে শিউলিকে বদ্ধ কক্ষে জোর করে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়। এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন পর সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে শিউলিকে পাচার করে দেওয়া হয় ভারতে।
পাচারের ছয় মাস পর পালিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছেন শিউলি। কিন্তু আর স্বাভাবিক হতে পারেননি তিনি। সারাক্ষণ তাঁকে তাড়া করে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও ভারতের হায়দরাবাদে কাটানো বিভীষিকাময় জীবনের ভয়ংকর অধ্যায়। অনেক চেষ্টার পর কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানী দল শিউলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। এরপর শিউলি তুলে ধরেন তাঁর পাচার সময়ের বিভিন্ন ঘটনা।
শিউলি বলেন, ‘তিন বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় আমার। এরপর ছোট ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে অথই সাগরে পড়ি। দুই বেলা খাওয়াতেও পারতাম না। বাধ্য হয়ে চাকরির আশায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে চলে আসি। সেখানে এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। তিনি আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে একটি হোটেলে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পর আমার মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে আমাকে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করে আমাকে। এসব কাজ করতে রাজি না হলে নেমে আসত অসহনীয় অত্যাচার। পরে হোটেল মালিক শিশির ও সাজ্জাদ নামের দুই ব্যক্তি আমাকে ভারতে পাচার করে দেয়।’
শিউলি বলেন, ‘আমিসহ মোট আটজন নারীকে সাতক্ষীরা দিয়ে রাতের আঁধারে বর্ডার পার করে হায়দরাবাদে পাঠায় মানবপাচারকারীরা। সেখানে একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয় আমাদের। ওই বাড়িতে আরো কয়েকজন তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আমাদের। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও ছিল। আমাদের মতো তারাও দালালের মাধ্যমে পাচারের শিকার হয়। ওই বাড়িতে পাচারকারীচক্রের সদস্যদের কাছে কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। এর কয়েক দিন পরই আমাদের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হোটেলগুলোতে এক দিনে কয়েকজনের ধর্ষণের শিকার হতে হতো। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নেমে আসত ভয়ংকর নির্যাতন। ওখানে যেহেতু আমাদের পাসপোর্ট ছিল না, পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেইল করে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যেতে বাধ্য করা হতো।’
শিউলি বলেন, ‘এভাবেই কেটে যায় প্রায় ছয় মাস। যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন বাদ দিয়েছি, তখনই দেখতে পাই আশার আলো। ভারতীয় এক খদ্দের আমাদের কষ্টের কথা শুনে সাহায্য করতে রাজি হন। পরে তাঁর সহায়তায় আমরা আট নারী একইভাবে রাতের আঁধারে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে আসি। দেশে আসার পর এখনো আমরা ভয়ে পালিয়ে থাকি। যাত্রাবাড়ী এলাকার দিকে কখনোই আর আসি না।’
শুধু প্রভাতি আবাসিক হোটেলই নয়, যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক আবাসিক হোটেলই নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত। সেগুলোর একটি শহীদ ফারুক রোডের চৌরাস্তায় হাজি ইউনুস মার্কেটের চতুর্থ তলার পপুলার আবাসিক হোটেল। এখানেও চাকরিপ্রার্থী অসহায় নারীদের জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধান মতে, গত ১৫ বছরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শিউলির মতোই হাজারো অসহায় নারীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার করেছে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সরেজমিন হোটেল প্রভাতিতে গিয়ে কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানী দলও অপরাধের প্রমাণ পায়। সাথি (ছদ্মনাম) নামের একজন নারীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে তিনি হোটেল ব্যবসার আড়ালে মালিকের নোংরা ব্যবসার ফাঁদের গল্প তুলে ধরেন। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে যেভাবেই হোক বের করার ব্যবস্থা করুন।’
ওই নারী বলেন, ‘আমি কাজের জন্য আসছিলাম। অফিশিয়াল কাজের কথা বলে নিয়ে এছে দেহ ব্যবসায় লাগাইছে। এর পেছনে শিশির ও সাজ্জাদ আছে। আরো অনেকেই আছে যাদের নাম জানি না। তারা জোর করে আমাকে দিয়ে নোংরা কাজ করায়। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে এক রুমেই আটকে রাখা হয়েছে। কখনো বের হতে দেয় না। আমি মুক্তি চাই। আমি বের হতে চাই।’
যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে ও জুন মাসে একই ব্যক্তিদের মালিকানাধীন হোটেল প্রভাতি ও পপুলার আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হোটেল মালিক শিশির চৌধুরীসহ মিশু, পলাশ মিয়া, আজিজুল, অলিউল্লাহ, জাকির হোসেন নামে কয়েক মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়। মামলার বিবরণে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের আটকে রেখে জোরপূর্বক যৌন ব্যবসা করানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। থানা সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান ও মামলা হলেও আইনকে যেন তোয়াক্কাই করে না প্রভাবশালী চক্রটি। অন্যদিকে বিচারিক ব্যবস্থার ধীরগতির জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ ও মানবপাচারকারীচক্রটি যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
পুরো বিষয়টি জানতে হোটেল মালিক ও মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের মূল হোতা শিশির চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কালের কণ্ঠ। কিন্তু পলাতক থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
হিন্দু ভোট কাটাকাটিই লক্ষ্য! যোগীর উত্তরপ্রদেশে ১০০ আসনে লড়বে শিব সেনা-সংবাদ প্রতিদিন
রাম মন্দির আন্দোলনে তাঁরাও অংশীদার। তাই উত্তরপ্রদেশে হিন্দুত্ববাদী ভোটে যোগী আদিত্যনাথ, তথা বিজেপিকে ওয়াক ওভার দিতে নারাজ শিব সেনা। উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করলেন, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ১০০টি আসনে প্রার্থী দেবে শিব সেনা। রবিবার দলের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত একথা জানিয়েছেন।শনিবারই শিব সেনার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, শিব সৈনিকরা উত্তরপ্রদেশের মানুষের কন্ঠ হয়ে উঠতে চায়। তাই রাজ্যের ৪০৩ আসনেই আমরা প্রার্থী দেব। দলের উত্তরপ্রদেশের নেতারা লখনউয়ে এক জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বাস্তবে উত্তরপ্রদেশে শিব সেনার সংগঠনের সেই জোর নেই।
‘প্রমাণ হল তো! রূপাণীর বিদায় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে জেল খাটা সাংবাদিক শেষে মুখ খুললেন-আনন্দবাজার
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যে বিজয় রূপাণী সরছেন, তার ভবিষ্যদ্বাণী এক বছর আগেই করেছিলেন সে রাজ্যের এক সাংবাদিক ধবল প্যাটেল। তখন দেশে করোনার প্রথম ঢেউ সবে শুরু হয়েছে। প্যাটেল তখন লিখেছিলেন গুজরাটের মসনদে কিছু দিনের মধ্যেই বড় বদল আসতে যাচ্ছে। বদলটি যে আদতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীরই অপরসারণ-সেকথার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ঐ লেখায় ছিল। আর সেই রিপোর্ট লেখার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পড়তে হয়। এমনকি টানা দু সপ্তাহ জেলও খাটতে হয়েছিল তাঁকে। জামিন পেলে আর এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ধবল। গতকাল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে রূপাণী ইস্তফা দেওয়ার পর অবশেষে ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন যা লিখেছিলাম তা এতদিনে প্রমাণিত হল।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮