হযরত যাইনাব (সা.): ইসলামের অনন্য মহামানবী
(last modified Tue, 29 Nov 2022 13:34:26 GMT )
নভেম্বর ২৯, ২০২২ ১৯:৩৪ Asia/Dhaka

৫ জমাদিউল আউয়াল হযরত যাইনাব (সা.) (সা.) র শুভ জন্মবার্ষিকীতে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি অশেষ মুবারকবাদ এবং এই মহামানবীর শানে পেশ করছি অসংখ্য সালাম ও দরুদ। বনি হাশিমের আকিলা বা জ্ঞানী নামে খ্যাত মহীয়সী নারী যাইনাব (সা) সম্মান-মর্যাদা আর অতুলনীয় সাহসী ভূমিকার কারণে ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে আছেন।

কুফায় ইবনে জিয়াদের দরবারসহ নানা স্থানে এবং দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে বন্দী অবস্থায় ইমাম হুসাইন (আ.)’র বোন হযরত যাইনাব (সা.) (সা.) যেসব সাহসী বক্তব্য রেখেছিলেন তা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

হযরত যাইনাব (সা.) ষষ্ঠ হিজরির ৫ই জমাদিউল আউয়াল  জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন হযরত আলী (আ.) এবং হযরত ফাতেমা (সা.) এর তৃতীয় সন্তান। তাঁর জন্মের জন্মের সংবাদে খুশি হয়ে মহানবী (সা) বলেছিলেন: "আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, এই কন্যার নাম রাখো যাইনাব (সা.) অর্থাৎ বাবার অলংকার। রাসূলে খোদা (সা.) যাইনাব (সা.)কে কোলে নিয়ে চুমু খেয়ে বললেন-সবার উদ্দেশ্যে বলছি, এই মেয়েটিকে সম্মান করবে, কেননা সে-ও খাদিজার মতো। "

ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সত্যি-সত্যিই যাইনাব (সা.) খাদিজা (সা.) র মতোই ইসলামের দুর্গম পথে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন এবং দ্বীনের সত্যতাকে তুলে ধরার জন্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।

যাইনাব (সা.) তাঁর জীবন শুরু করেন এক আধ্যাত্মিকতার পরিবেশপূর্ণ পরিবারে। কারণ এই পরিবার রাসূলে খোদা (সা.),আলী (আ.) এবং ফাতেমা (সা.) এর মতো মহান ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্য পেয়ে ধন্য ও পবিত্র হয়েছে। এঁরা ছিলেন পূত-পবিত্র জীবনের অধিকারী এবং মানবীয় মর্যাদা ও ফযিলতের গোড়াপত্তনকারী। যাইনাব (সা.) সেই শিশুকাল থেকেই ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী এবং আধ্যাত্মিক ঐশ্বর্যে ভরপুর মনের অধিকারী। সেই ছোট্ট বেলায় তিনি একবার তাঁর মা ফাতেমা (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ একটা ধর্মীয় ভাষণ শুনেছিলেন। সেই ভাষণ তাঁর মুখস্থ হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে ঐ ভাষণের একজন বর্ণনাকারী হয়ে যান তিনি। তাঁর এই সচেতনতা এবং প্রখর স্মৃতিশক্তির জন্যে তাঁকে সবাই 'আকিলা'  তথা বুদ্ধিমতী ও চিন্তাশীল নামে অভিহিত করতেন। 

যাইনাব (সা.) শিশু বয়সে প্রিয় নানা হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে হারান। তার অল্প পরেই হারান মা ফাতেমা (সা.) কে। এরপর তাঁকে লালন পালনের দায়িত্বভার অর্পিত হয় প্রিয় পিতা হযরত আলী (আ.) এর ওপর। পিতার প্রখর জ্ঞান-গরিমা, আধ্যাত্মিকতা,নীতি-নৈতিকতা আর সচেতন প্রজ্ঞার ঐশ্বর্যে নিজেও সমৃদ্ধি অর্জন করেন এবং এভাবেই তিনি বেড়ে ওঠেন। যে সময়টায় অধিকাংশ নারীই ছিল প্রায় মূর্খ এবং নিরক্ষর, সে সময়টায় হযরত যাইনাব (সা.) ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার ও প্রশিক্ষণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তাঁর জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার কথা সবার কানে পৌঁছে যায়। তাঁর প্রশিক্ষণ ক্লাসে ও কুরআন তাফসিরের ক্লাসে যোগ দেয়ার জন্যে নারীরা উদগ্রীব থাকত। তিনি যতদিন মদিনায় ছিলেন ততদিন মদিনার মানুষ তাঁর জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় এবং যখন তিনি কুফায় অবস্থান করেছিলেন তখনো তিনি সেখানকার জনগণকে জ্ঞানের ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করেন।

যাইনাব (সা.)'র বিয়ে হয়েছিল চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাফরের সাথে। তিনি ছিলেন সে সময়কার আরবের একজন বড় মাপের ধনী ব্যক্তি। কিন্তু উন্নত চিন্তাদর্শের অধিকারী যাইনাব (সা.) কখনও বস্তুতান্ত্রিক জীবনের বৃত্তে নিজেকে আবদ্ধ করেননি। তিনি শিখেছিলেন, কখনোই এবং কোনোভাবেই অত্যাচারীদের লোভনীয় মোহের কাছে সত্যের মহামূল্যবান সম্পদকে বিসর্জন দেয়া যাবে না। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর ভাই ইমাম হুসাইন (আ.) এর সাথে দ্বীনকে উজ্জীবিত রাখার সংগ্রামে এবং সমাজ সংস্কারের পথেই থাকবেন। আব্দুল্লাহ ইবনে জাফরের সাথে বিয়ের সময় যাইনাব (সা.) শর্ত দিয়েছিলেন যে তিনি সারাজীবন তাঁর ভাই ইমাম হুসাইন (আ.) এর পাশে থাকবেন। আব্দুল্লাহও তাঁর এই শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। সেজন্যেই তিনি মদিনা থেকে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) এর ঐতিহাসিক সফরকালে তাঁর সাথে গিয়েছিলেন এবং অত্যাচারী উমাইয়া শাসক ইয়াজিদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বীরত্বের অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।

হযরত যাইনাব (সা.)'র ব্যক্তিত্বকে ভালোভাবে চেনা যায় আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর মধ্যে এবং বিশেষ করে নবীজীর আহলে বাইতের সদস্যদের বন্দী হবার ঘটনায়। হযরত যাইনাবের ভূমিকা ছাড়া কারবালার বিপ্লব পূর্ণতা পেত না ও এর প্রকৃত ইতিহাসও প্রকাশ হত না। আল্লাহকে তিনি যে কতো গভীরভাবে চিনেছিলেন তা তাঁর ব্যক্তিত্বে ও কর্মতৎপরতায় ফুটে উঠতো। আল্লাহর ইবাদাতের প্রতি তাঁর ছিল প্রবল আকর্ষণ। নামায বা আল্লাহর স্মরণই ছিল তাঁর মানসিক প্রশান্তির রহস্য। আল্লাহর নূরে তাঁর অন্তরে এতো বেশি আলোকিত ছিল যে দুনিয়ার কোনো দুঃখ-কষ্টই তাঁর কাছে ততোটা গ্রাহ্য ছিল না। 

হযরত যাইনাব (সা.) ও তাঁর ভাই ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর প্রিয়জনদের শাহাদাতের পর কঠিনতম সেই দিনগুলোতে অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে বীরত্বের সাথে সুস্পষ্ট ও উপযুক্ত বক্তব্য রেখে ইসলামের শত্রুদের অপদস্থ করেন। আর এভাবে মহান আল্লাহর প্রতি তাঁর গভীর আস্থা ও নির্ভরশীলতা এবং তাঁর ভেতরে যে স্বাভাবিক ধৈর্যশক্তি-সেসবেরই প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন তিনি। তিনি রক্তপিপাসু উমাইয়া শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নবীজীর আহলে বাইতের সত্যতাকে সংরক্ষণ করেন এবং কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের বিজয় হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। ইয়াজিদের দরবারে যিনি যেরকম তেজস্বী বক্তব্য রেখেছেন তা সবার অন্তরে স্থায়ীভাবে গেঁথে গিয়েছিল এবং আলী (আ.) এর স্মৃতিকেও সবার সামনে জাগিয়ে তুলেছিল। তিনি সবসময় কুরআনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখতেন যাতে তা প্রামাণ্য হয়।

হযরত যfইনাব (সা.) শাহাদত বরণ করেছিলেন হিজরি ৬২ সনের ১৫ ই রজব। কারবালার মহাবিপ্লব যেইনাবকে ছাড়া কেবলই যে অপূর্ণ থাকত তা নয়, এ বিপ্লবের বার্তা ও প্রকৃত ইতিহাসও চিরতরে হারিয়ে যেত। সফল হত তারাই যারা প্রকৃত মুহাম্মদী ইসলাম ও এর প্রকৃত নায়কদের বিস্মৃতির অতলগর্ভে তলিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল।

মহান আল্লাহর সাহায্যের প্রতি অবিচল আস্থা থেকেই উৎসারিত হয় এমন বাক্য, যা শত্রুর জন্য অপমানের উৎস। মুসলিম সমাজের নেতা বা ইমাম হিসেবে ভাইয়ের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে যfইনাব (সা.) বলেছেন, “কিভাবে রাসূলেরসা. সন্তান ও বেহেশতী যুবকদের নেতাকে হত্যার কলঙ্ক বহন করবে, এ কলঙ্ক এমন এক মহান ব্যক্তিকে হত্যার কলঙ্ক যিনি ছিলেন তোমাদের জন্য আশ্রয়-স্থল, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের সংরক্ষক এবং ছিলেন তোমাদের ধর্মের পথ-প্রদর্শক। ” এরপর তিনি সুরা আহযাবের ৩৩ নম্বর আয়াতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি যিনি আমাদেরকে রাসূল (সা.)’র মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন এবং আমাদেরকে সব ধরণের অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখেছেন। ”

এরপর  যfইনাব (সা.) সুরা আলে ইমরানের ১৭৮ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেন। যেখানে বলা হয়েছে, “কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।”

যfইনাব (সা.) তাঁর ভাষণে অভিশপ্ত ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বলেছেন, খোদায়ী বিধান ও আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে তোমার এসব কাজ আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি বিদ্রোহ এবং রাসূলের নবুওয়্যাত ও কোরআনের বিধানকে অস্বীকারের সমতুল্য।  তিনি ইয়াজিদকে উদ্দেশ করে আরও বলেছিলেন, “নানা মুসিবত ও চাপের মুখে তোমার সাথে কথা বলতে বাধ্য হয়েছি, কারণ, তোমার এমন যোগ্যতা নেই যে আমরা তোমার সাথে কথা বলব। এই পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং তোমার সম্পদ ও বিলাসী জীবন এতেই সীমিত। আমাদের মুসিবত এই পার্থিব জগতেই শেষ হবে, কিন্তু আমরাই বিজয়ী, কারণ, সত্য আমাদের পক্ষে।”

বহু মহতী গুণের ক্ষেত্রে যেমন, নেতা বা ইমামদের প্রতি আনুগত্য ও ভালবাসায়, এবাদতে, প্রজ্ঞায় ও জ্ঞানে, খোদাভীরুতায় ও সতীত্বে এবং সত্যের পক্ষে নির্ভিকতায় ও বাগ্মীতায় কেবল রমনীকুলের জন্যই নয়, অন্য সব মানুষের জন্যেও যাইনাব  (সা.) অনুকরণীয় আদর্শ। বিনয় ও নম্রতা, সত্যবাদীতা ও ভদ্রতা ছিল তাঁর চরিত্রের ভূষণ। যে কোনো বিপদের সময় অন্যদের জীবন রক্ষার জন্য নিজ জীবনকে বিপন্ন করা ছিল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রীতি। পিপাসায় কাতর হওয়া সত্ত্বেও তিনি কারবালায় নিজের অংশের পানিটুকু দান করেছিলেন শিশুদেরকে। কারাবালার সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও অশেষ ধৈর্য নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবিচল ছিলেন এই সাহসী নারী। অথচ এমন কঠিন সংকটের চেয়ে হাজার গুণ ক্ষুদ্র সংকটের সময়ও ভগ্ন-হৃদয় হয়ে যায় নারী-পুরুষ। যাইনাব  (সা.) কারবালায় কখনও কখনও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন শত্রুদের সুপথের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে। আবার কখনও সেই কঠিন সংকটের শিকার ও বিপদাপন্ন মুমিনদের সান্তনা দিয়েছেন। কখনও ব্যস্ত থেকেছেন পরবর্তী ইমাম ও রাসূলের আহলে বাইতের শেষ বাতি তথা ইমাম হোসাইন (আ.)'র পুত্র ইমাম যাইনুল আবেদীন (আ.)-কে রক্ষার কাজে।

কারবালা বিপ্লবের আশুরা-পরবর্তী অধ্যায় পরিচালনা করেছেন হযরত যাইনাব  (সা.)। কারবালা থেকে কুফায় ও সিরিয়া যাওয়ার পথে সেযুগের জালেম শাসকদের সামনে ও জনগণের সামনে যেসব ভাষণ ও বক্তব্য রেখেছিলেন আলী-দুহিতা যাইনাব  (সা.) সেগুলো তাঁর উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মহত্ত্বসহ আরো কিছু অসাধারণ গুণ তুলে ধরেছে। সময়-উপযোগী নানা সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর অসাধারণ ক্ষমতা ফুটে উঠেছে বিভিন্ন সময় বা উপলক্ষে। তিনি জানতেন কোথায় শান্তভাবে বক্তব্য রাখতে হবে এবং কোথায় বীরত্বব্যাঞ্জক বা জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখতে হবে।

ইবনে জিয়াদ যখন পরিহাস করে প্রশ্ন করে যে, তোমার ভাই হোসাইনের ব্যাপারে আল্লাহর আচরণকে কেমন দেখলে? যাইনাব  (সা.) খোদাপ্রেমে পরিপূর্ণ হৃদয়ে বলেছিলেন, "আমি সৌন্দর্য ছাড়া আর কিছুই দেখিনি, আল্লাহ চেয়েছিলেন যে তাঁরা শহীদ হবেন, তাঁরা তাঁদের চির-বিশ্রামস্থলে ছুটে গেছেন, আল্লাহ শিগগিরই তোমাকে ও তাঁদেরকে পুনরুত্থিত করবেন, সেদিন তুমি দেখবে যে কে প্রকৃত বিজয়ী হয়েছে।"

ইবনে কাসির একজন বাকপটু আরব ছিলেন। তিনি যাইনাব (সা.)'র বক্তৃতা শুনে একবার কাঁদতে কাঁদতে উচ্চস্বরে বলেছিলেন: "আমার বাবা-মা তোমার জন্যে উৎসর্গিত, তোমার গুরুজনেরা সবচেয়ে উত্তম মুরব্বি, তোমাদের ঘরের শিশুরাই সবচেয়ে ভালো এবং তোমাদের ঘরের রমণীরা সর্বোত্তম নারী। তোমাদের বংশ সব বংশের উপরে এবং কখনোই পরাজিত হবে না।"

হযরত যাইনাব (সা.) তাঁর পিতা ইমাম আলী (আ.)'র দেয়া শিক্ষার আলোকে দ্বীনের ব্যাপারে সচেতনতা, দুর্দশায় ধৈর্য ধারণ এবং সৎ জীবন যাপনের মাধ্যমে ঈমানের আদর্শ তুলে ধরেছিলেন। যাইনাব (সা.)'র দৃষ্টিতে সত্যের পথে দাঁড়ানো এবং আল্লাহর পথে জীবন বিলানো এমন এক সৌন্দর্য যা মানবতার চিরন্তন প্রশংসার দাবিদার। এজন্যেই তিনি আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনার পর অত্যাচারী শাসকদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন-"আমি তো সৌন্দর্য ছাড়া অন্য কিছু দেখি না।"  

হযরত যাইনাব (সা.আ.)’র শুভ জন্মবার্ষিকীতে আমাদের উচিত তাঁর জীবন থেকে অন্যায়ের মোকাবেলায় সাহসী হওয়াসহ খোদাপ্রেম ও সব সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও খোদা-নির্ভরতাকে প্রাধান্য দিয়ে ধর্মের জন্য সর্বোচ্চ কুরবানির শিক্ষা নেয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দিন।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/২২