আল্লাহর প্রেমে ত্যাগের উৎসব- কুরবানি
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রেডিও তেহরানের বিশেষ অনুষ্ঠান 'আল্লাহর প্রেমে ত্যাগের উৎসব- কুরবানি' শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি সালাম ও পবিত্র ঈদুল আযহার একরাশ শুভেচ্ছা। ‘শহিদান’দের ঈদ এল বকরীদ!/ অন্তরে চির-নওজোয়ান যে তারই তরে এই ঈদ। আল্লার রাহে দিতে পারে যারা আপনারে কোরবান, নির্লোভ নিরহংকার যারা, যাহারা নিরভিমান,
দানব-দৈত্যে কতল করিতে আসে তলোয়ার লয়ে, ফিরদৌস হতে এসেছে যাহারা ধরায় মানুষ হয়ে,/অসুন্দর ও অত্যাচারীরে বিনাশ করিতে যারা জন্ম লয়েছে চিরনির্ভীক যৌবন-মাতোয়ারা,- /তাহাদেরই শুধু আছে অধিকার ঈদগাহে ময়দানে,/তাহারাই শুধু বকরীদ করে জান মাল কোরবানে।
বিভুতি, ‘মাজেজা’, যাহা পায় সব প্রভু আল্লার রাহে/কোরবানি দিয়ে নির্যাতিতেরে মুক্ত করিতে চাহে।/এরাই মানব-জাতির খাদেম, ইহারাই খাক্সার,/এরাই লোভীর সাম্রাজ্যেরে করে দেয় মিসমার!/ইহারাই ‘ফিরদৌস-আল্লা’র প্রেম-ঘন অধিবাসী তসবি ও তলোয়ার লয়ে আসি অসুরে যায় বিনাশী।/এরাই শহিদ, প্রাণ লয়ে এরা খেলে ছিনিমিনি খেলা,/ভীরুর বাজারে এরা আনে নিতি নব নওরোজ-মেলা!
প্রাণ-রঙ্গিলা করে ইহারাই ভীতি-ম্লান আত্মায়,/আপনার প্রাণ-প্রদীপ নিভায়ে সবার প্রাণ জাগায়।/কল্পবৃক্ষ পবিত্র ‘জৈতুন’ গাছ যথা থাকে,/এরা সেই আসমান থেকে এসে, সদা তারই ধ্যান রাখে!
এরা আল্লার সৈনিক, এরা ‘জবীহুল্লা’-র সাথি,/এদেরই আত্মত্যাগ যুগে যুগে জ্বালায় আশার বাতি।/ইহারা, সর্বত্যাগী বৈরাগী প্রভু আল্লার রাহে,/ভয় করে নাকো কোনো দুনিয়ার কোনো সে শাহানশাহে।/এরাই কাবার হজের যাত্রী, এদেরই দস্ত চুমি! কওসর আনে নিঙাড়িয়া রণক্ষেত্রের মরুভূমি!/‘জবীহুল্লা’র দোস্ত ইহারা, এদেরই চরণাঘাতে,/‘আব-জমজম’ প্রবাহিত হয় হৃদয়ের মক্কাতে।/ইব্রাহিমের কাহিনী শুনেছ? ইসমাইলের ত্যাগ?/আল্লারে পাবে মনে কর কোরবানি দিয়ে গরু ছাগ? আল্লার নামে, ধর্মের নামে, মানব জাতির লাগি/পুত্রেরে কোরবানি দিতে পারে, আছে কেউ হেন ত্যাগী?/সেই মুসলিম থাকে যদি কেউ, তসলিম করি তারে,/ঈদগাহে গিয়া তারই সার্থক হয় ডাকা আল্লারে।/অন্তরে ভোগী, বাইরে যে রোগী, মুসলমান সে নয়, চোগা চাপকানে ঢাকা পড়িবে না সত্য যে পরিচয়!/লাখো ‘বকরা’র বদলে সে পার হবে না পুলসেরাত/সোনার বলদ ধনসম্পদ দিতে পার খুলে হাত?
কোরান মজিদে আল্লার এই ফরমান দেখো পড়ে,/আল্লার রাহে কোরবানি দাও সোনার বলদ ধরে।/ইব্রাহিমের মতো পুত্রেরে আল্লার রাহে দাও,/নইলে কখনও মুসলিম নও, মিছে শাফায়ৎ চাও!
নির্যাতিতের লাগি পুত্রেরে দাও না শহিদ হতে,/চাকরিতে দিয়া মিছে কথা কও– ‘যাও আল্লার পথে’! বকরীদি চাঁদ করে ফরয়্যাদ, দাও দাও কোরবানি,/আল্লারে পাওয়া যায় না করিয়া তাঁহার না-ফরমানি!/পিছন হইতে বুকে ছুরি মেরে, গলায় গলায় মেলো, কোরো না আত্ম-প্রতারণা আর, খেলকা খুলিয়া ফেলো!/কোথায় আমার প্রিয় শহিদল মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাণ?/এসো ঈদের নামাজ পড়িব, আলাদা আমাদের ময়দান!
আবারও ফিরে এল পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর রহমতের পূর্ণতার প্রতীক হয়ে
প্রতিবছর ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দ, সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসে ৷ ঈদগুলো আহবান জানায় সব মলিনতা ও কলুষতাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কারের পাশাপাশি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে, পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে। আরবিতে ঈদুল আযহা শব্দের অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগের উৎসব। কুরবানির ঈদ তথা ঈদুল আযহা খোদার রাহে বা আল্লাহর প্রেমের পথে সর্বোচ্চ ত্যাগের আনন্দের প্রতীক। কুরবানি হতে হবে আন্তরিক। যারা হজব্রত পালন করেন তাদের হজ ও পশু কুরবানি কবুল হওয়া নির্ভর করছে খোদা-প্রেমের গভীরতা ও আন্তরিকতার মাত্রার ওপর। মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছুর আকর্ষণ ত্যাগ করতে পারা এবং লোভ-লালসাসহ সব ধরনের পশু-প্রবৃত্তিকে কুরবানি করতে পারার মধ্যেই রয়েছে হজ ও পশু কুরবানির সার্থকতা।
ঈদের দিন জামায়াতে নামাজ পড়ার আগেই আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এমন এক মহতী উৎসব ও অজস্র নেয়ামত দান করার জন্য। সবাই এ সময় বলেন: আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্। আলহামদুলিল্লাহি আলা মা হাদানা।... এর মধ্যে রয়েছে যেন তালবিয়া পাঠেরই আনন্দ। হজযাত্রীরা তালবিয়া ধ্বনিতে বলেন, হে আল্লাহ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি, নিশ্চয়ই প্রশংসা, নেয়ামত ও বাদশাহি বা রাজত্ব একমাত্র তোমারই। তোমার নেই কোনো শরিক বা সমকক্ষ। হে প্রভু আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি।”
ত্যাগ আর কুরবানির মহিমায় ভাস্বর পবিত্র কুরবানির ঈদ। কুরবানির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আমাদের সামনে রয়েছে হযরত ইব্রাহিমের প্রতি তাঁর প্রিয়পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার নির্দেশ সংক্রান্ত মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনা। সে ঘটনা আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের এই দিনেরই ঘটনা। তবে, তিনি প্রথমেই পশু কুরবানির অনুমতি পাননি। স্বপ্নযোগে তিনবার আদেশ পান তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করার। অনেক চিন্তাভাবনার পর আল্লাহর নবী তাঁর প্রিয়পুত্র হযরত ইসমাইলকে কুরবানি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পুত্র ইসমাইলকেও তাঁর স্বপ্নের কথা বলেন। যেমন পিতা, তেমন পুত্র! নিজের কুরবানির কথা শুনেও ঘাবড়ালেন না তিনি। ইসমাইল বললেন, 'হে আমার পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।'
আল্লাহর প্রতি এরকম একনিষ্ঠতা শয়তানের সহ্য হলো না। এই পরীক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য শয়তান মরিয়া হয়ে ওঠে। একবার যায় বাবার কাছে আরেকবার ছেলের কাছে। মায়ের কাছে গিয়েও প্ররোচনা দেয়ার কাজে লিপ্ত হলো ইবলিশ। কিন্তু কোনো কাজই হলো না। সবার কাছ থেকে বিমুখ হলো অভিশপ্ত শয়তান।
শয়তান চলে যাওয়ার পর সংবেদনশীল মুহূর্তটি ঘনিয়ে এলো। দয়ালু পিতা তাঁর প্রিয় পুত্রকে জমিনে শুইয়ে দিলেন। ধারালো ছুরি চালালেন পুত্রের গলায়। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন হযরত ইব্রাহিম (আ)! এমন সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐশী আওয়াজ এলো:)
"হে ইব্রাহিম! তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করেছ। আল্লাহ ইসমাইলকে কুরবানি করার আদেশ রহিত করেছেন।" এরপর আল্লাহ একটি দুম্বা পাঠালেন ইসমাইলের পরিবর্তে কুরবানি করতে। হযরত ইব্রাহিম তা-ই করলেন।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর ছেলে ইসমাইল (আ.)-এর আত্মত্যাগকে স্মরণ করে প্রতিবছর হাজীরা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ পশু কুরবানি করেন। এছাড়া, সামর্থবান মুসলমানরাও এদিন কুরবানি দিয়ে থাকেন।
এখানে আমরা স্মরণ করতে পারি ইসলাম ধর্মের নীতিমালাকে জাগিয়ে তোলার জন্য হযরত ইমাম হুসাইনের অনন্য আত্মত্যাগের কথা। তিনি কেবল নিজের জীবনই বিসর্জন দেননি ইসলামের জন্য। নিজের পরিবারের প্রায় সব সদস্য ও এমনকি এক বছরের বা ছয় মাসের শিশু সন্তানকেও আল্লাহর রাহে কুরবানি করেছেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ হযরত ইব্রাহিমের আত্মত্যাগকেও ছাড়িয়ে গেছে। ইমাম হুসাইন (আ) এটাই শিখিয়ে গেছেন যে ইসলামকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন, পরিবার ও স্ত্রী-কন্যাদের জীবন বিলিয়ে দিতে হবে এবং এমনকি তাদের লাঞ্ছিত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়টিকেও ইসলামের চেয়ে বিন্দুমাত্র প্রাধান্য দেয়া যাবে না।
ইসলামের পথে তথা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ইমাম হুসাইনের (আ) আত্মত্যাগে ভাস্বর কারবালার মহাবিপ্লব এবং মহানবীর (সা) পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যদের আত্মত্যাগের পর আমরা আধুনিক যুগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানির প্রোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখেছি ইরানের ইসলামী বিপ্লবে এবং ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী (র)'র নীতিতে। ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর পরই এই মহান ইমামের নির্দেশে দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের সব সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় এবং তেহরানে ইসরাইলি দূতাবাস বন্ধ করে তা ফিলিস্তিনকে দেয়া হয়। এ বিষয়ে অনেকেই ইমাম খোমেনীকে নমনীয় বা ধীরে-চলার নীতি তথা আপোষের নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইমাম খোমেনী ইসরাইলের ব্যাপারে আপোষের নীতি বা বিন্দুমাত্র আপোষের প্রস্তাবও নাকচ করে দেন। ফলে ইসলামী ইরান ও ইরানি জাতিকে এ জন্য গত চার দশক ধরে ব্যাপক মূল্য দিতে হয়েছে এবং এখনও এ জন্য অনেক কিছু কুরবানি করছে ইরানের মুসলিম জাতি। ইসলামী ইরানের সঙ্গে গোটা পাশ্চাত্যের ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সর্বোচ্চ শত্রুতার অন্যতম প্রধান কারণ হল শয়তানি শক্তি ও জালিম শক্তির মোকাবেলায় ইরানের এই আপোষহীনতার নীতি। (বাজনা)
পবিত্র কুরআন, ইসলাম ও মহানবীর প্রতি অবমাননাকর বই স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানি পদাবলী নামক বই লেখার দায়ে ইমাম খোমেনী (র) মুর্তাদ বা ধর্মত্যাগী সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন। তখনও বলা হয় যে ইরানের প্রভাবশালী কোনো কোনো মহল ও বিশিষ্ট ব্যক্তি এমন কঠোর ফতোয়া না দিতে ইমাম খোমেনীকে অনুরোধ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন এমন ফতোয়া দেয়ার কারণে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদির পক্ষ নিয়ে ব্রিটেনসহ গোটা পাশ্চাত্য ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ও এমনকি যুদ্ধও শুরু করতে পারে ইরানের সঙ্গে। কিন্তু ইমাম খোমেনী বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে কুরবানির চেতনায় প্রদীপ্ত যুক্তি দেখিয়ে বলেন যে ইসলামকে কুরবানি করে ইরানকে টিকিয়ে রাখা আমাদের লক্ষ্য নয় বরং আমাদের লক্ষ্য হল ইসলামকে রক্ষার জন্য দরকার হলে ইরানকেও কুরবানি করতে হবে! যখন ইসলামের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তখন আমি কি করে নিরব বা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারি? ইসলামকে রক্ষার জন্য যদি ইমাম হুসাইনের মত বড় ইমাম ও মহাপুরুষ নিজের জীবন এবং পরিবারসহ সবকিছু কুরবানি করতে পারেন তাহলে আমরা তাঁরই আদর্শের অনুসারী হওয়ার দাবিদার হয়ে কেন কুরবানি বা ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকব না?!!
এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে পবিত্র হজ খুবই সীমিত ও ঘরোয়া পরিসরে পালন করতে হচ্ছে! করোনা একটি বাহ্যিক ভাইরাস। কিন্তু মুসলমানদেরকে প্রকৃত ঈদের তথা খোদা-প্রেমের মাধ্যমে সৌভাগ্য ও মুক্তি অর্জনের আনন্দ পেতে হলে তাদেরকে সাংস্কৃতিক ও মানসিক নানা ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে হবে। এসব ভাইরাসের মধ্যে রয়েছে মুসলিম শাসকদের পরাধীনতা ও পাশ্চাত্যের সেবা-দাসত্বসুলভ মনোভাব, ইসলামের নামে নানা ধরনের ধর্মান্ধতা, উগ্রতা, অনৈক্য ও কুসংস্কার, দুর্নীতি, ভোগবাদ ও বিলাসিতা এবং ত্যাগ ও কুরবানির সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকার মত কয়েকটি প্রধান ভাইরাস।
আজ মুসলমানদের জন্য দরকার কাসেম সুলাইমানির মত ত্যাগী ও নিজেকে হাসিমুখে ইসলামের জন্য কুরবানি দিতে প্রস্তুত আপোষহীন বীর। মুসলমানদের পবিত্র ঈদগুলো তখনই পুরোপুরি সার্থক বা আসল ঈদ হবে যখন তারা ঈমানের জোরে ভেতর থেকে এতটাই শক্তিশালী হবে যে একদিকে তারা সব ধরনের পাপের প্রলোভনকে নাকচ করতে পারবে এবং অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী ও তাগুতি শক্তির হুমকিকে উপেক্ষা করে মুক্ত করতে পারবে সবগুলো মজলুম জাতিকে। আজ ফিলিস্তিন, কাশ্মির, ইয়েমেন, মিয়ানমার এবং অন্যান্য অঞ্চলের মজলুম ও বঞ্চিত জনগণের কাছে ঈদুল আযহার দিনে এটাই সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা । #
পার্সটুডে/মু.আ.হুসাইন/মো.আবুসাঈদ/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।