-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪৪): যুদ্ধের ময়দানে ইরানি যোদ্ধাদের আল্লাহর স্মরণ
নভেম্বর ০৫, ২০২২ ১৭:০৯আগ্রাসী সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানি যোদ্ধারা আল্লাহকে স্মরণ করতেন এবং অবসরে জিকির-আসগারে মশগুল থাকতেন। তাদের কাছে আল্লাহর স্মরণ ও তাঁকে রাজি-খুশি রাখা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে তারা যুদ্ধে জয়-পরাজয়কে অতোটা গুরুত্ব দিতেন না। এই মানসিক শক্তি নিয়েই তারা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যুনতম অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করার সাহস পেতেন।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪৩): ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের বিজয়ে ঈমানি শক্তির ভূমিকা
নভেম্বর ০৫, ২০২২ ১৬:৫৯ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহীদ হাসান বাকেরি সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইরানি যোদ্ধাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিজয় উপহার দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামি চিন্তাধারার আলোকে ‘আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান’কে যেকোনো যুদ্ধ জয়ের প্রধান হাতিয়ার মনে করতেন। তিনি নিজে মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালার ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল হতে পেরেছিলেন।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৬): ইরানি সাহসি যোদ্ধা ও কমান্ডার আব্বাস বাবায়ি
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৫:১৯প্রকৃতপক্ষে ইরাক-ইরান যুদ্ধে জয়-পরাজয় নির্ধারণে যে বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে তা ছিল ইরানি যোদ্ধাদের গভীর ধর্মীয় বিশ্বাস। পরকালকে সামনে রেখে পার্থিব জীবনকে সাজিয়ে নেয়ার নামই ধর্মীয় বিশ্বাস। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী একজন মানুষ পৃথিবীর কোনো ঘটনাকেই পরকালের সঙ্গে সম্পর্কহীন মনে করেন না বরং তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে তিনি যা কিছু করেন তার প্রতিটি কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৫): তেহরানের কাছে বাগদাদের শোচনীয় পরাজয়ের কারণে
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৫:১২ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুধু যে তৎকালীন পরাশক্তিগুলো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোই ইরাকের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাই নয় সেইসঙ্গে ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসি এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যামের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও সাদ্দাম সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৩): যুদ্ধের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দ্বৈত আচরণ
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৪:৩৩ইরাকের সাদ্দাম সরকারের প্রতি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই পরাশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা ছিল পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। ১৯৭৯ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত ইসলামি বিপ্লব ওই দুই পরাশক্তির সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকারীরা এই বিপ্লব থেকে পেয়েছিল অনুপ্রেরণা। সাদ্দামের নেতৃত্বাধীন ইরাকের বামপন্থি বাথ সরকার ছিল প্রাচ্যের পরাশক্তি অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিপূর্ণ অনুগত।