আধুনিক যুগে মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পায়ন ও নগরায়নের নানা নেতিবাচক প্রভাব। বিশেষ করে এ যুগে পশ্চিমা সংস্কৃতি বা জীবন-দর্শনের প্রভাবে অনেক পরিবার সন্তান নিতে অতীতের মত আর আগ্রহী নন।
১৪৮ হিজরির ১১ জিলকাদ ইসলামের ইতিহাসের এক মহা-খুশির দিন। এই দিনে মদিনায় জন্ম নিয়েছিলেন মহানবীর (সা) পবিত্র আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমাম রেজা (আ.)।
শ্রোতা ভাই ও বোনেরা, যৌবনকালের নানা সুবিধার দিক ও এসবকে কাজে লাগানো এবং এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি আমরা গত দুই পর্বে। আজ আমরা যৌবনে আত্ম-গঠন ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির বিষয়ে আলোকপাত করব।
গত পর্বের আলোচনায় আমরা জেনেছি ইসলাম-পূর্ব যুগে আরব দেশ ও অন্য অনেক সমাজে বহু স্ত্রী রাখার প্রথা প্রচলিত ছিল। আরবের মূর্তি পূজারিরা যখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তখন তাদের প্রত্যেক পুরুষের দশ জনেরও বেশি স্ত্রী ছিল।
পবিত্র কুরআন পবিত্র ও আদর্শ নারীদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। মহানবী (সা) যে চার জন আদর্শ বা শ্রেষ্ঠ নারীর কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরাও পবিত্র কুরআনের উল্লেখিত আদর্শ তথা শ্রেষ্ঠ নারী। তাঁদের মধ্যে হযরত ফাতিমা হলেন সর্বকালের সেরা নারী।
মানুষ দুনিয়ার বুকে মহান আল্লাহর প্রতিনিধি। তবে আল্লাহর যোগ্য প্রতিনিধি হতে হলে তাঁর নামগুলোর অর্থ ও ব্যাখ্যা সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা রাখতে হবে।
মহান আল্লাহ'র আসমায়ুল হুসনার তালিকাভুক্ত আরও একটি নাম ত্ব'হির طاهر। মহান আল্লাহর এই নাম ত্ব'হির অর্থ পবিত্র। মহান আল্লাহ তাঁর পছন্দের মানুষকে বাহ্যিক ও আত্মিক অপবিত্রতা থেকে মুক্ত করেন। আত্মিক পবিত্রতা বলতে বোঝায় অনৈতিকতার কদর্যতা ও দূষণ থেকে আত্মাকে পবিত্র করা।
মহান আল্লাহ'র আসমায়ুল হুসনার তালিকাভুক্ত আরও একটি নাম গ্বিয়'স। এর অর্থ যিনি বিপদ বা দুর্যোগ কবলিত ব্যক্তির ফরিয়াদে সাড়া দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন তথা ত্রাণকর্তা।
মহান আল্লাহ'র আসমায়ুল হুসনার তালিকাভুক্ত আরো দুই নাম মুবাশ্বির«مبشّر» তথা সুসংবাদদাতা ও মুনজির «مُنذر» বা সতর্ককারী। সুসংবাদে মানুষ আনন্দ পায় বা খুশি হয়।