গত আসরে আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি ইরানের বিদ্যুৎ শিল্প নিয়ে। একথা অনস্বীকার্য যে বিশ্বব্যাপী আজ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো বিদ্যুৎ সমস্যা।
গত আসরে আমরা ইরানে মধু চাষের প্রচলন নিয়ে কথা বলেছিলাম। মৌমাছি পালন বা মধু চাষের ক্ষেত্রে ইরান বেশ সক্রিয়।
মধু একটি মিষ্টি এবং সুস্বাদু খাদ্য। যে-কেউ মধু পছন্দ করেন। এই খাদ্যগুণের বাইরেও মধুর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজে লাগে।
ডেইরি শিল্পের ভুবনে পেগাহ সবচেয়ে নামকরা একটি কোম্পানি। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে দুগ্ধ শিল্পের সর্ববৃহৎ উত্পাদক কোম্পানি এই পেগাহ। এই কোম্পানির ঊনত্রিশটি পণ্য এবং সরবরাহ উপখাত রয়েছে।
গত আসরে আমরা ইরানে উৎপাদিত দুম্বা এবং ছাগলের চাষ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে গরু,ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পশুর দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি।
কিছু কিছু গোসফান্দ আছে যেগুলোর লেজ নেই। লেজের জায়গায় বল বা বড় টিউমারের মতো চর্বির চাক থাকে। ওই চর্বির বলটিকেই দোম্বে বলে। সে থেকেই এর নাম দুম্বা। তবে দুই প্রজাতির দুম্বাই আছে ইরানে। চর্বির বলযুক্ত দুম্বা এবং চর্বির বলহীন ছাগলের লেজের মতো ছোট্ট লেজময় দুম্বা।
গত আসরে আমরা ইরানের পোল্ট্রি ফার্ম এবং টার্কি মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা বলেছিলাম। সেইসঙ্গে বলেছিলাম টার্কি মুরগির মাংসের শতকরা পঁয়ষট্টি ভাগই সাদা আর বাকি মাত্র পঁয়ত্রিশ ভাগ লাল।
পশ্চিম আজারবাইজান, পূর্ব আজারবাইজান, কেন্দ্রিয় প্রদেশ, ফার্স প্রদেশ, খোরাসান, গিলান, মজান্দারন, ইস্ফাহান এবং কেরমান প্রদেশসহ আরও বহু এলাকায় এখন টার্কি মুরগির প্রচুর খামার রয়েছে।