সভ্যতার লালনভূমি ইরানের বিচিত্র প্রকৃতি আর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এ আসরে আজ আমরা যাবো দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের দিকে। এখানকার বড়ো একটি প্রদেশ হলো সিস্তান ও বেলুচিস্তান।
ইরানের রাজধানী শহর তেহরান থেকে শিরাজের দূরত্ব হলো ৯৩৫ কিলোমিটার । শিরাজের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো ।
গত আসরে আমরা বলেছিলাম যে ইরানের এই শিরাজ প্রদেশ এতো বেশি নিদর্শনবহুল যে ঘুরে ফিরে দেখতে গেলেও বহু সময়ের দরকার। সেই যে প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন তাখতে জামশিদ বা পার্স-পোলিস দেখতে গিয়েছিলাম ওই স্থাপনার প্রতিটি দিক নিয়েই আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন। কিন্তু এতো সময় তো আমাদের হাতে নেই। তাই আমরা সামান্য উল্লেখ করে যাচ্ছি মাত্র।
আজ আপনাদের নিয়ে যাবো শিরাজ শহর থেকে একটু দূরে এক ঐতিহাসিক স্থানে । যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায়।
গরম জলের কয়েকটি ঝরনার কথা বলেছি। আহরাম শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত এই ঝরনাগুলো। ইরানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটামুটি সারা বছর জুড়েই এই আহরামে লোকজন বেড়াতে আসে এসব ঝরনা উপভোগ করার জন্য।
ফার্স প্রদেশের কেন্দ্রিয় শহর হলো শিরাজ। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরানের ঐতিহাসিক এই প্রদেশে দেখার মতো বহু নিদর্শন রয়েছে।
কবি হাফিজকে নিয়ে আমরা কথা বলেছি গত আসরে। আজকের আসরে আমরা এখানকার আরেক জগদ্বিখ্যাত কবি সাদি'কে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো।
শিরাজে ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন কারিমখানী দূর্গ, তিনটি মসজিদ-ওয়াকিল মসজিদ, শোহাদা মসজিদ এবং আতিক মসজিদ।
একসময় শিরাজ বিখ্যাত ছিলো তার রকমারী বাগ-বাগিচার জন্যে। এখন তার অধিকাংশই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবশ্য মূল শহরে এখনো বেশ কটি পার্ক এবং বাগ-বাগিচা দেখতে পাওয়া যায়।
ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার সংস্থা এই মহাবীরের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁর বাসভবনটিকে জাতীয় নৃতত্ত্ব যাদুঘরে পরিণত করে।