Pars Today
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বর আগ্রাসনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে কলম্বিয়া।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর হাতে ২০০ থেকে ২৫০ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু আল-কাসসামের হাতে রয়েছে ২০০ বন্দি।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, হামাসের ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযানে ইসরাইল শুধু পরাজিত হয়নি চরমভাবে অপমানিত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, অন্য কারো সাহায্য ছাড়া হামাস একাই ইহুদিবাদীদের চরম পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে।
ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গাজায় ইসরাইলি পাশবিকতা অব্যাহত থাকলে এবং কোনো রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব না হলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগাম হামলা হতে পারে।
ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে এবং গাজায় পা রাখলে ওই উপত্যকায় তাদের দাফন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
শ্রোতাবন্ধুরা! স্বাগত জানাচ্ছি রেডিও তেহরানের সাপ্তাহিক সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান আলাপনে আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বর্তমানের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় অর্থাৎ টক অব দ্যা ওয়ার্ল্ড হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাসের ইসরাইলে দুঃসাহসিক হামলা-যে হামলায় তের শ'র বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইল গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় দু হাজার সাত শ পঞ্চাশ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা আবারও গাজা উপত্যকার আশেপাশের ইহুদিবাদী এলাকায় প্রবেশ করেছে। ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর কঠোর প্রহরা সত্ত্বেও প্রতিরোধ যোদ্ধারা ওইসব নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশে করতে সক্ষম হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধের ব্যাপারে প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইসরাইল-পন্থি নীতি গ্রহণ করার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে বলেছেন, এই নীতি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ বিপন্ন করছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বেসামরিক শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। চোখ বন্ধ করে গাজার মানুষের উপর বোমা ফেলা হচ্ছে। অবশ্য চোখ বন্ধ করে বললে ভুল হবে, কারণ ইসরাইল বোমা ফেলার জন্য এমন সব ভবন বা এলাকাকে বেছে নিচ্ছে যেখানে বেসামরিক মানুষের আনাগোনা বেশি।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি দখলদারদের সম্পূর্ণভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জাতির লড়াই অব্যাহত থাকবে।