বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের একাংশে ভূমিকম্প হয়েছে। বাংলাদেশ সময় আজ (শুক্রবার) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আজ ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে ভূকম্পনটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। এটি ঢাকা থেকে ৩৪৭ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫ টা ১৫ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় জোরালা ভূমিকম্প হয়। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ভূপৃষ্ঠের ১২ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের হাখা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। প্রথমে অবশ্য মাত্রা বলা হয়েছিল ৫.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
তবে, ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএসএমসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ছিল ৪২ কিলোমিটার।
ইএসএমসি’র তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তাছাড়া, ভারতের অসম, ত্রিপুরা, মনিপুর ও পশ্চিমবঙ্গেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। মিজোরামের থেনজলের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ভূমিকম্পের উৎসস্থলের দূরত্ব ছিল ৭৩ কিলোমিটার। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।