ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ব্যাপক এবং প্রাণবন্ত: রাম নাথ কোবিন্দ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i101302
ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, ভারতের উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ব্যাপক এবং প্রাণবন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে তাঁর হোটেল স্যুটে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ২১:২২ Asia/Dhaka
  • ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
    ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, ভারতের উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ব্যাপক এবং প্রাণবন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে তাঁর হোটেল স্যুটে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে, এমন একটি সময়ে তিনি এই অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই আনন্দিত।

দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কথা জানিয়ে প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ভারতকে মহান বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করিকোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও উভয় দেশের মধ্যে সফর বিনিময় দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের সাক্ষ্য বহন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ভারতের রাষ্ট্রপতি) বলেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন একসঙ্গে তিনটি উৎসবে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি আনন্দিত।

গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উদযাপনে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসায় ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারত সরকার এবং তাঁদের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠান উদযাপনে যোগ দিতে চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক ও সফল বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন।

১৯৬৫ সালের ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বিভিন্ন রুটে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সেই রুটগুলো পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং আম পাঠানোর জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ওষুধ, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এবং প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম পাঠানোটা উভয় দেশের সহযোগিতার শুভেচ্ছার নিদর্শন এবং একে অপরকে সমর্থনের প্রতীক।

বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই তাদের নিজস্ব ধর্মীয় অধিকার ও আচার-অনুষ্ঠান পালনে স্বাধীন, এখানে কোনো বাধা নেই। ধর্ম ব্যক্তির, উৎসব সবার জন্য।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রাজদীপ রায় এমপি, ভারতের রাষ্ট্রপতির সচিব কেডি ত্রিপাঠি, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।