ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ১৮:২৯ Asia/Dhaka

বিশ্ব মহামারী করোনার ক্ষতিকর ধরন ডেল্টা চলমান অবস্থায় দেখা দিয়েছে নতুন ভাইরাস ওমিক্রন। ইতোমধ্যে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে নব্বইটির মত দেশে। বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস।   

পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপের অনেক দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বাংলাদেশের সরকার এখন এমন পদক্ষেপে যেতে চাইছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে সেভাবে ওমিক্রন ছড়ায়নি। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে যেসব কাজ করতে হবে, সেদিকে আমাদের মনোযোগ বেশি। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্ডারে একই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব হাসপাতালে রোগী বেশি আছে, সেখানে জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। ওমিক্রম কারও শরীরে থেকে থাকলে তা শনাক্ত করা যাবে।'

এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সমালোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মানুষ যেন বেপরোয়াভাবে না ঘুরে বেড়ায়; কিন্তু সেটা হচ্ছে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলো কীভাবে হয়? কক্সবাজারে লাখ লাখ মানুষ যাচ্ছে, কেউ মাস্ক পরছে না। বিয়ে হচ্ছে, কেউ মাস্ক পরছে না। তাহলে সংক্রমণ বাড়ার সুযোগ তো রয়েছে! আমরা এ বিষয়ে দুঃখিত।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় বুস্টার ডোজ দিতে হলে আমাদের সুরক্ষা অ্যাপের হালনাগাদের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জানিয়েছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে, তারা কাজ করছে। আমাদের জানিয়েছে, এ মাসের শেষের দিকে তারা কাজটা সম্পন্ন করতে পারবে। তারপর আমাদের বুস্টার ডোজের কার্যক্রম পূর্ণ গতি লাভ করবে।

তিনি বলেন, এখন যারা বুস্টার ডোজ নেবেন, তাদের জন্য আমরা একটা ব্যবস্থা রেখেছি। ষাটোর্ধ্ব বয়সী এবং সম্মুখ সারির মানুষ ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে এলে আমরা বুস্টার ডোজ দিয়ে দেবো। বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের সবাইকে আমরা দেবো। বুস্টার ডোজ কীভাবে দেওয়া হবে সে সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই এটা আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। কখন-কীভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে আমি ডিজি অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা জনগণকে অবহিত করবে।

উৎসবে কড়াকড়ি

কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে  থার্টিফার্স্ট নাইটের উৎসবের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।   

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে ওই সব অনুষ্ঠান পালনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঘরের বাইরে কিংবা উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে এমন নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করাই যৌক্তিক হবে।’#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

ট্যাগ