বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস: স্মৃতিসৌধে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
-
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (শনিবার) সকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে প্রেসিডেন্ট এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কয়েক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। তার সঙ্গে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয় এবং সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৬টা ০৮ মিনিটের দিকে তারা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। তাদের পর শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে তার দলের পক্ষ থেকে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে অর্পণ করেন।

একাত্তরের ২৫ মার্চ দিনগত মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এর পর দীর্ঘ ৯ মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে দামাল বাঙালি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।
৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আজ সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।