নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যার বিচার করা হবে: মির্জা ফখরুল
(last modified Thu, 04 Aug 2022 12:18:19 GMT )
আগস্ট ০৪, ২০২২ ১৮:১৮ Asia/Dhaka
  • নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যার বিচার করা হবে: মির্জা ফখরুল

ভোলায় বিএনপির দুই নেতার নুরে আলম ও আব্দুর রহিম হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের জানাজার আগে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। নুরে আলমের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

জানাজাপূর্ব সমাবেশে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু নেই। ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে হত্যা করেছে। ১৫ বছরে ৬শ জন গুম, সহস্রাধিক হত্যা ও ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের জেগে উঠে প্রতিবাদ করতে হবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নুরে আলম ও রহিম হত্যার বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ৫-৭ তারিখ পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষক দল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।

ভোলায় বিএনপি এবং পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা

এদিকে, নুরে আলম ও আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে  ভোলায় বিএনপির ডাকা অর্ধদিবস হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়।

হরতালের সমর্থনে সদর রোডের মহাজনপট্টির জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে দেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার সারা দেশে লোডশেডিং ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুড়লে ওই দিন ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তিনিও সেখানে মারা যান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ