বাংলাদেশে হঠাৎ বাড়ল সব জ্বালানির দাম, মধ্যরাতে কার্যকর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i111544-বাংলাদেশে_হঠাৎ_বাড়ল_সব_জ্বালানির_দাম_মধ্যরাতে_কার্যকর
বাংলাদেশে হঠাৎ করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১.৬৮%, প্রতি লিটার কিনতে গুনতে হবে ১৩৫ টাকা।
(last modified 2025-10-04T05:57:22+00:00 )
আগস্ট ০৬, ২০২২ ০৯:২৫ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে হঠাৎ বাড়ল সব জ্বালানির দাম, মধ্যরাতে কার্যকর

বাংলাদেশে হঠাৎ করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বেড়ে হয়েছে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১.৬৮%, প্রতি লিটার কিনতে গুনতে হবে ১৩৫ টাকা।

গতকাল (শুক্রবার) মধ্যরাতের পর থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।  

রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন কর্তৃক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায় নিম্নোক্তভাবে পুণর্নির্ধারণ করা হলো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে (সব পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।  বর্তমানে আন্তর্জাতিক  তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, “জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।  যতদিন সম্ভব ছিল, ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের  মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনরায় বিবেচনা করা হবে।”

এদিকে, গণমাধ্যমে তেলের দাম বাড়ার খবর আসার সাথে সাথে ভিড় লেগে যায় রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে। হাজারো মোটর সাইকেল চালক শেষবারের মত আগের দামে তেল কেনার চেষ্টায় ছুটে আসেন পাম্পে। এ পরিস্থিতিতে বিক্রি বন্ধ করে দেয় ঢাকার কিছু ফিলিং স্টেশন।  রাত ১২টা বাজার আগেই জেলায় জেলায় পেট্রলপাম্প বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।