জ্বালানি সাশ্রয়ে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
দেশে জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।
রিট আবেদনে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট স্থগিত, বাতিল ও প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ও উপ সচিব এবং বিইআরসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। শিগগিরই এর শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেন লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পেট্রোল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা করেছে। এর ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদিও সরকার বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে এর কারণ দেখিয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে ফের সমন্বয় করা হবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে নিত্য পণ্যের বাজার দর। নতুন করে দাম বেড়েছে সবজি, মুরগি এবং আটা, ময়দা, চাল, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের । সবকিছুতে ব্যয় বাড়লেও মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের আয় বাড়েনি। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, জ্বালানি সাশ্রয়ে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিল্প-কারখানার মালিকরাও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন। দ্রুতই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এতে দৈনিক প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বর্তমানে শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর রয়েছে। তবে এক দিনে সব এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটি না দিয়ে যদি রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেক দিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করা যায় তাহলে বিদ্যুতের যথেষ্ট সাশ্রয় হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।#
পার্সটুডে/এআরকে/৮