লালবাগে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i111942-লালবাগে_পলিথিন_কারখানায়_অগ্নিকাণ্ড_৬_জনের_মৃতদেহ_উদ্ধার
বাংলাদেশের রাজধানীর লালবাগে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (সোমবার) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভবনটির নিচে থাকা খাবার হোটেলের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
আগস্ট ১৫, ২০২২ ১৭:৪৬ Asia/Dhaka
  • লালবাগে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশের রাজধানীর লালবাগে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (সোমবার) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভবনটির নিচে থাকা খাবার হোটেলের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ একটি কক্ষ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ওই কক্ষে বরিশাল হোটেলের কর্মচারীরা মেস করে থাকতেন বলে জানা গেছে। আগুন লাগার পর দুই কর্মচারীর স্বজনেরা তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান। ওই কক্ষে ছয় জন থাকতেন। রাতে ডিউটি শেষে ওই কক্ষটিতে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর কক্ষে প্রবেশ করে মরদেহ দেখতে পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে লালবাগের ৩০ নং দ্বেবিদার ঘাট, কামালবাগে এই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট কাজ করেছে। আগুন লাগার সোয়া দুই ঘণ্টা পর বেলা সোয়া দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হোটেল কর্মচারী ওসামানের (২৫) খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘আমার খালাতো ভাই যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটির নিচতলায় থাকা বরিশাল হোটেলে চাকরি করত। রাতে কাজ করে সে ভবনটির দুই তলায় ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু আগুন লাগার পরে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এখন আগুন লাগা ভনটির দুই তলায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু দেখতে পেয়েছি।’

পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদ্বারঘাট এলাকায় আগুন লাগা পলিথিনের কারখানাসহ আশপাশ এলাকার বহু ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আজ (সোমবার) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘চকবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এসে দেখি আশপাশের বহু ভবনে যত্রতত্র গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে ঘিঞ্জি এলাকা অন্যদিকে এসব কারখানায় যখন-তখন যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি অনেক ভবনে মানুষ বাসও করছেন। তাদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।