দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i112114-দৈনিক_৩০০_টাকা_মজুরির_দাবিতে_চা_শ্রমিকদের_ধর্মঘট_অব্যাহত_বিশ্লেষক_প্রতিক্রিয়া
দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের ধর্মঘট গত পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১৮, ২০২২ ১৯:২৩ Asia/Dhaka
  • দৈনিক  ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের ধর্মঘট গত পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ টাকা অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত তারা দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দফতরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। তাই শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা।

চা শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

পরদিন বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে চা-বাগান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর এই বৈঠক হয়। সন্ধ্যায় ৬টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টায়। চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে প্রায় ৫ ঘণ্টার মতো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে চলমান ধর্মঘটও প্রত্যাহার করেননি শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অচল হয়ে পড়েছে চা বাগানগুলো।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, আমাদের দাবি দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি। মালিকপক্ষ ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা মজুরি দিতে রাজি হয়েছে। আমরা এ প্রস্তাব মেনে নেইনি। আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা বাগান মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে দাবি-দাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে  চা বাগান কর্তৃপক্ষ দাবী  করছেন, চা শিল্প এখন আর লাভজনক খাত নয়।দেশে উৎপাদিত  চা দিয়ে  দেশের নিজস্ব চাহিদা  পুরণ হয় না। তাই আমদানি করতে হয়। এ অবস্থায় শ্রমিকদের  মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলন এ শিল্পকে একটা অচল অবস্থার দিকে  নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ চা বোর্ড ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সবমিলিয়ে ২৫৬টি চা-বাগান আছে। এতে নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজারের উপরে। অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ হাজার। দেশে মোট চা শ্রমিক পরিবারের বাসিন্দা প্রায় ৮ লাখ। এর মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার। বাগানে কাজ না পেয়ে হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।