মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে ১৩ দফা দাবী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i115866-মাদ্রাসার_জন্য_স্বতন্ত্র_শিক্ষাক্রম_ও_পাঠ্যপুস্তক_প্রণয়নে_১৩_দফা_দাবী
মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখতে ১৩ দফা দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহর যশোরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নামে একটি সংগঠন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ১৪, ২০২২ ১৮:১১ Asia/Dhaka
  • স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
    স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন

মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখতে ১৩ দফা দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহর যশোরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নামে একটি সংগঠন।

আজ সোমবার রাজধানী ঢাকার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার মান বজায় রাখতে আলিম-কওমি পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনতে হবে। কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিম ঐতিহ্য, কৃষ্টির সঙ্গে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম তৈরি করতে হবে।

মানববন্ধন থেকে ১৩ দফা দাবির মধ্যে প্রথম দাবীই ছিল, মাদরাসা শিক্ষার জন্য সরকারের প্রণীত ও জাতীয় সংসদে গৃহীত জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ অনুযায়ী স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যবই তৈরি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য দাবীর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষার দাখিল পরীক্ষার জন্য মূল বিষয় ঠিক রেখে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারনের দাবী জানানো হয়।

এদিকে, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে যশোরেও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন আলীর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনসিটিবির ৯টি বই পরীক্ষামূলকভাবে পড়ানো হয়। ২০২৩ সাল থেকে ওই বইগুলো সমস্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানোর নির্দেশনা দেয় এনসিটিবি। ওইসব পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত অধিকাংশ ছবি, শব্দ, বাক্য, তথ্য-উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে বলে দাবী করেন তারা। বইগুলোতে মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের নীতি নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোনও বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্তু বিভিন্ন বইয়ে এমন সব ছবি ও তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যা মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর পরিস্থতিতে ফেলেছে। শিক্ষকরা বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কোনও বিকল্প নেই। তবে এজন্য এনসিটিবি, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের আলেমদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। #

পাার্সটুডে/নিলয় রহমান/রেজওয়ান হোসেন/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।