গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি আলমগীর
বিএনপির ৫ এমপি'র আসন শূন্য হয়ে গেছে: স্পিকার
-
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সাতজনের মধ্যে পাঁচজন সশরীরে উপস্থিত থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুজনের পদত্যাগপত্র যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন তিনি।
বিএনপির এমপিদের মধ্যে বগুড়া-৭ আসনের জি এম সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ এর জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ (রোববার) সকালে সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ‘অসুস্থতার’ কারণে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর হারুনর রশীদ বিদেশে থাকায় সংসদ ভবনে উপস্থিত না হলেও তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত পদত্যাগপত্র স্পিকারের হাতে দেন দলীয় হুইপ রুমিন ফারহানা।

এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিএনপির ৭ জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ জন নিজেরাই এসেছিলেন। বাকি দুজনের একজন অসুস্থ, আরেকজন বিদেশে।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পদত্যাগপত্র স্বশরীরে এসে জমা দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে ৫ জন পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন তাদের আসন শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুটি আবেদনের সই যাচাই করা হবে এবং তারাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কি না, সংসদ সচিবালয় তা খোঁজ নেবে। তবে হারুনুর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ইমেইলে, তার সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। এটা গ্রহণ করা হবে না, তাকে আবার পদত্যাগপত্র দিতে হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, সংশ্লিষ্ট আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করবে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। কোনো মাননীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে- এটাই ইসির দায়িত্ব।
উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, এ বিষয়টি সামনে আনলে এই কমিশনার বলেন, এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে করতেই হবে। নব্বই দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট তো ইভিএমেই হবে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে সেটা কতটা ভালনারেবল। নির্বাচন করতেই হবে।#