নোট গাইডে বাজার সয়লাব
বাংলাদেশ সরকার অবৈধ করলেও নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড বই মিলছে বাজারে
বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনায় নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের প্রয়োজন পড়বে না বলে দাবি করেছিলেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে চলে এসেছে অবৈধ নোট-গাইড বই। ‘সহায়ক বই’ নামে এসব গাইডে বাজার সয়লাব। ‘একের ভেতর সব’ নাম দিয়ে তৈরি এসব গাইড এখন বিক্রিও হচ্ছে বেশ। স্কুলে-স্কুলে এসব গাইডের সৌজন্য কপিও পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
যদিও আইনের বরাত দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলেছে, এ গাইডগুলো অবৈধ। এগুলো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণা। এ গাইড পড়ে কোনো লাভ হবে না।
কয়েকজন অভিভাবক পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড বই রাজধানীর বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। পাঁচ খণ্ডের এক সেট বইয়ের দাম নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা। এর মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না। শুধু শুধু টাকা ও সময়ের অপচয় হবে বলেই মনে করছেন অনেক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ।
এদিকে নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড বই বাজারে আসার খবরে অবাক হয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এ ধরণের গাইডতো আসার কথা না। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন।
আর এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে এ ধরণের বই পড়ে কোনো লাভ হবে না। মূল্যায়নের বড় অংশ হবে ধারাবাহিক। ধারাবাহিক মূল্যায়নে গাইড বই কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না। আর ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের (পরীক্ষা) নির্দেশনা কৌশলগত কারণে দেইনি, যাতে কেউ গাইড না তৈরি করতে পারে। গাইড প্রকাশকরা গতবছর থেকে এ নির্দেশনার জন্য ঘুরছে। এ নির্দেশনা প্রস্তুত থাকলেও প্রকাশ করেননি বলে দাবী করেন এ এনসিটিবি কর্মকর্তা।#
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৮