সমঝোতা ও রাজনৈতিক ঐক্যমতে সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ
প্রথমবারের মতো সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে: সিইসি
যার কারণে নির্বাচন বাতিল হবে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে কোনো ধরনের সংঘাত যেন না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট নজর রাখবে বলেও জানান তিনি।
আজ (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সুধীজনদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুতারং যেকোনভাবেই তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে কয়েকবার সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, এর আগে কোনো সরকার কখনও এমন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবার সরকারপ্রধান এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাইকে এবারের নির্বাচনের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে নির্বাচন ব্যবস্থা এবং বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুধীজনদের।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখায়াত হোসেন বলেন, দলনিরপেক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। জামালপুরের ডিসিদের মতো প্রশাসকদের দিয়ে কখনো ক্রেডিবল (বিশ্বাসযোগ্য) নির্বাচন হবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থাহীনতার সংকট ও এর পেছনের কারণ তুলে ধরতে পারলেই নির্বাচনী সংকট কেটে যাবে।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবে। সমঝোতা ও রাজনৈতিক ঐক্যমতের মাধ্যমে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাগিদ দিলেন সুধী সমাবেশে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনেরা।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/১৩