বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে
দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিতে বাজারভীতি বাড়ছে ভোক্তাদের; সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের তাগিদ
বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও ক্রেতা পর্যায়ে নাগালে আসছে না দাম। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি আসেনি, যে কারণে দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।
জানা গেছে, শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মূলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। তবে এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে সবজি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বাজারে সবজি তুলনামূলক কম। তাই, সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি।
ভরা মৌসুমেও দাম না কমায় অসন্তোষ ক্রেতাদের মাঝে। বিক্রেতারা বলছেন, এখনও পুরোদমে শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হয়নি। আরও কিছুদিন পর আমদানি বাড়ার সঙ্গে দামও কমে যাবে।
রাজধানীর হাতিরপুল, শান্তিনগর ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু সবজি না দাম বেড়েছে বিভিন্ন পন্যের। যাতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। এতে করে অনেক ভোক্তা বাজেট কমিয়েছেন কাঁচাবাজারে। বাড়ছে তাদের বাজারভীতি। ফলে আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কথা বলছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আয় বাড়েনি সাধারণের, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যা উদ্বিগ্ন করছে সাধারণ মানুষকে।
মুক্তবাজার অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে দেশের গুটিকয়েক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক মুনাফা করছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে লুটে নিচ্ছে তারা। আর এসব দেখভালের দায়িত্ব যেসব সরকারি সংস্থার, তাদের সক্ষমতা সীমিত। তাই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নজীর নেই বলে অভিযোগ করেছে ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/২৭