অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও
অবরোধ সহিংসতায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ; রাজনৈতিক সংলাপে সমঝোতার প্রত্যাশা
বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
অবরোধের ২য় দিনে বগুড়ায় বিজিবি’র সাথে জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকালে ২য় বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম-ঘূনিয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বিএনপির জেলা সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। পরে একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়ক অবরোধ, মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, লক্ষ্মীপুরে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গতকাল কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহতের প্রতিবাদে, আজ বুধবার ঢাকা কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এমন পরিস্থিতি দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা উপজেলা ও মহানগর অঞ্চলে। ফলে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বক্তব্য, রাজনীতির কঠিন চাল বোঝা তাদের সম্ভব নয়। তারা চান প্রধান রাজনৈতিকদলগুলোর সমঝোতায় সুষ্ঠু রাষ্ট্রপরিচালনা।
ব্যবসায়ী কিংবা পরিবহন খাতের মানুষেরাও আছেন অবরোধ হরতালের ভোগান্তিতে। শিক্ষার্থীরা বেশি আতঙ্কিত, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্লাস পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে পড়তে হবে সেশন জটে। যার দুর্ভাগ্য ভোগ করতে হবে কর্মজীবনে। তাই সবার প্রত্যাশা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পন্থায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
নাগরিকদের এমন উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা বিবেচনায় বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, অবরোধ, সমাবেশ বা কর্মসূচির নামে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ (বুধবার) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর ও পরবর্তী কর্মসূচিতে বিএনপির হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।#
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন