মার্চ ১২, ২০২৪ ১৯:০৩ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নাকাল ভোক্তারা। গত রমজানের তুলনায় এ বছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ৮টি পণ্য যেমন- পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর, গরুর মাংস, রসুন এবং আলুর দাম ৪ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) মাধ্যমে সারাদেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে তেল, চিনি, ডালের মত পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম, মনিটরিং, চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা, ট্যাক্স ছাড় দিয়ে চিনি, খেজুর আমদানির সুযোগ, স্বল্প মূল্যে মাংস, দুধ ডিম, মাছ বিক্রির উদ্যোগ থাকার পরও বড় একটি ভোক্তা শ্রেণিকে এসব নিত্যপণ্যের জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এর বাইরে ডিম, তেল, ব্রয়লার মুরগির দামও বেশ চড়া, যেগুলোর ওপর মানুষের নির্ভরতাও বেশি।

রমজান শুরুর মাত্র দুইদিন আগে, রোববার যে পেঁয়াজ ছিলো ৯০ টাকা কেজি দরে, তা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। ছোলা, ডাল, আদা, রসুন, মুরগিসহ নানান পদের কেনাকাটায়ও বেড়েছে দাম।

রমজান ঘনিয়ে আসায় সীমিত আয়ের লোকেদের দৈনন্দিনের বাজার খরচ মেটানোর সংগ্রাম আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।

এদিকে, রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই লেবু ও শসার দামেও যেন আগুন লেগেছে। সপ্তাহ ভেদে প্রতি কেজি শসার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে, প্রতি হালি লেবুর দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

টিসিবির বাজার বিশ্লেষণে ঢাকার খুচরা ও পাইকারি বাজারের তথ্য বলছে– পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, মশুর ডাল, খেজুর ও গরুর মাংসের দাম গত রোজার তুলনায় বেশি। এরমধ্যে পেঁয়াজ কিনতে ১৫০%, ছোলা কিনতে ২২%, চিনিতে ২১%, ডালে ১০%, একেবারেই সাধারণ মানের খোলা খেজুর কিনতে ৭%, গরুর মাংস কিনতে ৪%, রসুন কিনতে ৩৮% এবং আলু কিনতে ৭৫% বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।

এর বাইরে গত বছরের রোজা শুরু হওয়ার আগের দিনে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২৩০-২৫০ টাকার মধ্যে। ৭-১০ দিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২১০ টাকার মধ্যে, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগির এক হালি ডিমের দাম একই সময়ের ব্যবধানে ৪৭ টাকা থেকে কমে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অঙ্কের হিসেবে কম মনে হলেও প্রকৃত চিত্র বলছে দাম চড়া।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ