এপ্রিল ১২, ২০২৪ ১৮:০৯ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশের বুকে একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গেলো

: প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি দুটি কার্গো বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিসিএফ বিমান তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত ৭ এপ্রিলে অভূতপূর্ব এবং গোপনীয় দুটি ঘটনা ঘটে।

ন্যাশনাল এয়ার কার্গো ইনকর্পোরেটেড ইউএসএ দ্বারা নিবন্ধিত ও পরিচালিত পণ্যসম্ভার বিমানটি  (ফ্লাইট নম্বর N8806) ৭ এপ্রিল ১৯২৩ ঘন্টা উড়ে তেল আবিব থেকে  ঢাকায় অবতরণ করে এবং একই দিনে ঢাকা  ছেড়ে যায়। ফ্লাইট নম্বর N8848 (NCR848) এর অধীনে একই কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত দ্বিতীয় ফ্লাইটটি ১৯৫৪ ঘন্টা উড়ে ১১ এপ্রিল সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় আসে এবং ১২ এপ্রিল ঢাকা ছেড়ে যায়। যদিও দুটি ফ্লাইটই সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় এসেছিল।

 যদিও বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, সাম্প্রতিক অতীতে অনুসন্ধানকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম এবং স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করেছে। এই প্রতিবেদনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে বাংলাদেশী সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও  ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত।

তবে এর আগে ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেছেন যে , জরুরি অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরায়েল  ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই  এবং বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন -'ইসরায়েল আক্ষরিক অর্থে ফিলিস্তিনে গণহত্যা করছে। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, দুটি ফ্লাইটের বিষয়ে বিস্তারিত বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।# (জুলকার নাইনের এক্স থেকে)

পার্সটুডে/জিএআর/১২

ট্যাগ