কোরবানির চামড়ার বাজারে অস্থিরতা, ক্ষতির মুখে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
(last modified Wed, 14 Sep 2016 13:27:45 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬ ১৯:২৭ Asia/Dhaka

এবারের কোরবানির চামড়ার বাজারে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না কোরবানির পশুর চামড়া।

ট্যানারি মালিক ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন মূল্যে কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা যে দামে চামড়া কিনেছেন, আড়তদারদের কাছে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ আড়তদাররা।

বুধবারও রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তায় আড়তে চামড়া বিক্রি করতে এসে দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীররা। ভালো দাম পাওয়ার আশায়, এখানে আসলেও আড়তদারদের দাম শুনে হতাশ তারা। কেনা দামের চেয়ে এবার প্রতিটি চামড়ায় অন্তত ১০০ টাকা করে লোকসান গুনতে হবে তাদের। একই অবস্থা ঢাকার বাইরের খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও।

তবে, সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, এজন্য কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এখন বেশি দামে কিনে ক্ষতি হলে তাদেরই দায় নিতে হবে। তবে এখন লবণের দাম বেশি। সবকিছু মিলিয়ে তারা যে দামে চামড়া কিনছেন, তা ঠিকই আছে। এবার কোনোরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। নেই চামড়া নষ্টের আশঙ্কাও। প্রায় একই কথা বলেছেন অন্য আড়তদাররাও।

৯ সেপ্টেম্বর ট্যানারি মালিকদের দুই সমিতি ও চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম ঢাকায় ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

এদিকে, এবার এক কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এ বছর পশু কোরবানি গতবারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ভাগ কম হবে। গরুর দাম চড়া থাকা ও বন্যার কারণে দেশে গরু কোরবানি কম হয়েছে। আর চামড়ার দাম না থাকায় পাচারের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তবে পাচার বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি।#

পার্সটুডে/শামস মণ্ডল/আশরাফুর রহমান/১৪

 

ট্যাগ