মারা গেলেন ইউএস-বাংলা’র পাইলট, বেঁচে নেই কোনো কেবিন ক্রু
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i54331-মারা_গেলেন_ইউএস_বাংলা’র_পাইলট_বেঁচে_নেই_কোনো_কেবিন_ক্রু
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মার্চ ১৩, ২০১৮ ১২:৪৮ Asia/Dhaka
  • পাইলট আবিদ সুলতান ও ক্র প্রিথুলা রশিদ
    পাইলট আবিদ সুলতান ও ক্র প্রিথুলা রশিদ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) সকালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আবিদ সুলতান আজই মারা গেছেন। নেপাল থেকে এ খবর আমাদের দেয়া হয়েছে।’ পাইলট আবিদ সুলতান নেপালের নরভিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত ফ্লাইট 

'তিন ক্রুর কেউই বেঁচে নেই'

এদিকে,  ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজকুমার ছেত্রী আজ সকালে জানিয়েছেন, নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পাইলট আবিদ সুলতানসহ বিমানটিতে থাকা অন্য তিন ক্রুর কেউই বেঁচে নেই। গতকাল সোমবার বিমানের সব ক্রু মারা যান।

নিহত তিন ক্রু হলেন- প্রিথুলা রশিদ, খাজা হোসেন মোহাম্মদ শাফি ও শারমিন আক্তার। এদের মধ্যে প্রিথুলা বিমানটির কো-পাইলট ছিলেন।

তবে ঘটনাস্থলেই নাকি হাসপাতালে নেয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, ১১ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন থেকে চার জনের অবস্থা সংকটজনক।

মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ

হতাহতদের স্বজনরা গেছেন নেপালে

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের ৪৬ স্বজনকে নিয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা ৪০মিনিটে বিএস-২১১ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে যায়। ইউএস বাংলার রিজার্ভেশন এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানান, হতাহতদের স্বজনদের সঙ্গে এয়ারলাইন্সটির ৭ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

বিধ্বস্ত বিমানের একাংশ

নেপালে তদন্ত কমিটি গঠন

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হবার কারণ উদঘাটনে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দেশটির সরকার।

গতকাল (সোমবার) রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কাঠমান্ডু ট্রিবিউন জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক মহাপরিচালক যজ্ঞপ্রসাদ গৌতমের নেতৃত্বে এ কমিটি কাজ করবে। ১৩ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে কমিটি কাজ শুরু করেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. রাজীব দেব, ক্যাপ্টেন কে কে শর্মা, সুনীল প্রধান এবং উদ্ধবপ্রসাদ সুবেদীকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

নিহতদের লাশের সারি

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমানটি গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। নামার আগেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবন্দরের পাশের একটি খেলার মাঠে পড়ে যায়। বিমানটিতে পাইলটসহ চারজন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন।

গতকালই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল জানিয়ে ছিলেন, বিধ্বস্ত বিমানটিতে মোট ৬‍৭ জন যাত্রী, দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ৪৩ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি, মালদ্বীপের একজন এবং চীনের একজন ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। #

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৩