নেপালে বিমান দুর্ঘটনা: বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান (বিএস ২১১) বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবারের ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে ইউএস-বাংলার চার ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন বিমানের পাইলট আবিদ সুলতান। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে, উড়োজাহাজে থাকা ৩২ বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে বেঁচে আছেন ১০ জন, তাঁদের একজনের অবস্থা গুরুতর। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে (কেএমসি) আছেন আটজন। ওম হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে আছেন একজন। নরভিক হাসপাতালে আছেন একজন। কেএমসির আটজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ইমরানা কবীর হাসির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।

শনাক্তের ৩ দিন পর মরদেহ হস্তান্তর: বিমানমন্ত্রী
ওদিকে আজ (ধবার) নেপালের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জন বাংলাদেশির মরদেহ হিমঘরে রাখা আছে। এদের মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করা সম্ভব। বাকি কারও চেহারা বোঝা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ করতে অন্তত তিন দিন লাগবে। যাঁদের শনাক্ত করা যাবে, তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই মরদেহ ঢাকায় নেয়া হবে। যাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা থেকে দুটি মেডিকেল টিম কাল কাঠমান্ডু আসবে।
এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, কেউ যদি তাঁদের আহত আত্মীয়স্বজনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে বা দেশে নিতে চান নিতে পারবেন, তবে চিকিৎসার খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। #
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৪