ঐক্যফ্রন্টসহ ৭৫টি দলের সঙ্গে ফের সংলাপ করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
(last modified Sun, 13 Jan 2019 08:58:53 GMT )
জানুয়ারি ১৩, ২০১৯ ১৪:৫৮ Asia/Dhaka
  • ওবায়দুল কাদের
    ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ যেসব দল এবং জোট গণভবনে সংলাপে অংশ নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গে ফের সংলাপে বসবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীর আশপাশের জেলার দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের নেত্রী গতকাল আমাদের সঙ্গে ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বৈঠকে বলেছেন, যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদেরকে আমন্ত্রণ করবেন, আহ্বান করবেন, নিমন্ত্রণ করবেন।"

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সম্প্রতি টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে মাত্র আটটি আসন পাওয়া ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার ঘোষণা দিয়ে অবিলম্বে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায়। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত শুক্রবার গাজীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সারাবিশ্ব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দুনিয়ার সব গণতান্ত্রিক দেশই বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, প্রসংশা করেছে। এমতাবস্থায় এ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপের দাবি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন

তবে, আজ আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে কাদের বলেন, "সব রাজনৈতিক দল গণভবনে আমন্ত্রিত। ঐক্যফ্রন্ট আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, অন্য যেসব দল আছে, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করেছিলেন, তাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে।"

তবে কবে নাগাদ এ সংলাপ হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আগামী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে তাতে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে কি না- এমন প্রশ্নে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রতিপক্ষকে আমরা কখনো দুর্বল মনে করি না। সেটা মনে করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেদিক থেকে বিএনপি বা তাদের ফ্রন্ট নির্বাচনে যদি আসে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্বাগত জানাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনেরও আলাদা একটি মজা আছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে, আমরা সেই রকম নির্বাচনই আশা করি। তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এ রকমই আশা করব।”

নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থী করা ‘ভুল’ ছিল বলে যে স্বীকারোক্তি কামাল হোসেন দিয়েছেন, সে বিষয়েও ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।

উত্তরে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “তিনি তো ‘জেনে শুনে বিষ করেছি বিষ পান’- বিষয়টি এমন।… আমাদের দেশের নেতারা একেক সময় একেক কথা বলেন, কামাল হোসেনের বক্তব্য এখানে আমরা স্ববিরোধী বলে মনে করছি। কেননা তিনি জেনে শুনেই তো বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছেন। জামায়াত ছাড়া তো বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই, বিএনপি মানেই জামায়াত, জামায়াত মানে বিএনপি। এ অবস্থায় কামাল হোসেন সাহেব জেনে শুনে কেন এত বড় ভুল করলেন? এ ভুলের খেসারত তাকেই দিতে হবে।"

আজকের যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৩

খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন 

ট্যাগ