দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলেন গণফোরামের মোকাব্বির খান
(last modified Tue, 02 Apr 2019 07:25:45 GMT )
এপ্রিল ০২, ২০১৯ ১৩:২৫ Asia/Dhaka
  • মোকাব্বির খানকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
    মোকাব্বির খানকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয়জন ছাড়া বাদ বাকি সবাই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন।

আজ (মঙ্গলবার) বেলা সোয়া ১২টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে মোকাব্বিরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিব জাফর আহমদ খান। শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবদুল লতিফ, আবদুস সোবহান গোলাপ এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদী উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ শেষে মোকাব্বির খান এমপি রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে গতকাল (সোমবার) মোকাব্বির খান শপথ গ্রহণের ইচ্ছা জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেন। এ বিষয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘মোকাব্বির খান গণফোরামের প্যাড ‘চুরি’ করে সেই কাগজে স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। মোকাব্বিরের বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে বৈঠক করে তা জানানো হবে।

শপথ নেয়ার পর মোকাব্বির খান বলেন, মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে প্যাড চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। এটি একটি অরুচিকর কথা। শুনতেও বাজে লাগে। আমি দল থেকে অনুমতি নিয়েই সংসদে এসেছি।

সাংবদিকদের দলীয় প্যাড দেখিয়ে মোকাব্বির বলেন, ‘এটাকে যদি ভেরিফাই করতে চান তা হলে করতে পারেন। এখানে কোনো ধরনের বিতর্কের সুযোগ নেই। এটাকে যারা বিতর্কে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, আমি মনে করি তারা কোনো বিশেষ মহলের পারপাস সার্ভ করছেন অথবা তারা মানসিক বিপর্যস্ত। হয়তো তাদের একটা অ্যাসাইমেন্ট ছিল। সেই অ্যাসাইমেন্ট পালন করতে না পারায় তারা এমন আচরণ করছেন।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-গণফোরামসহ আরও কয়েকটি দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুইটি আসনে জয়ী হয়। পরে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ৭ মার্চ শপথ নেন। পরে তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় মোকাব্বিরও শপথ নিতে চেয়েছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি তখন আর শপথ নেননি। তবে এবার দলের সঙ্গে কথা বলেই শপথ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মোকাব্বির। 

এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে শপথ না নেয়ার। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এটা। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেকটি মিটিং আছে। তার আগেই উনি এটা কেন করলেন, বুঝলাম না। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেই তিনি শপথ নিচ্ছেন। উনি যা বলছেন তা সঠিক না।’#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২

 

 

ট্যাগ