নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন অধ্যক্ষ সিরাজ
(last modified Sun, 28 Apr 2019 17:55:20 GMT )
এপ্রিল ২৮, ২০১৯ ২৩:৫৫ Asia/Dhaka
  • নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে রোববার আদালতে নেয়া হয়।
    নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে রোববার আদালতে নেয়া হয়।

বাংলাদেশের ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা।  

আজ (রোববার) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

সিরাজ উদ দৌলার দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে মো. জাকির হোসাইন বলেন,  অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে কারাগারে শাহাদাত হোসেন শমীম ও নুর উদ্দিন দেখা করতে এলে তিনি নুসরাতকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে বলেন, চাপ প্রয়োগে কাজ না হলে পুড়িয়ে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা কারাগারের ভেতরে থেকে এ প্রান্তে থাকা শামীম ও নুর উদ্দিনকে এ নির্দেশ দেন। 

নুসরাত জাহান রাফি

নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় গত ২৭ মার্চ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় সিরাজ উদদৌলাকে। ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যায়। ওইদিনই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের আদালত সিরাজ উদদৌলাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেন। 

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারের ৮ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  এরা হচ্ছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহমেদ।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৮

ট্যাগ