ওসি মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী থানায় হস্তান্তর করা হবে : ডিসি রমনা
(last modified Sun, 16 Jun 2019 12:56:35 GMT )
জুন ১৬, ২০১৯ ১৮:৫৬ Asia/Dhaka
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
    মোয়াজ্জেম হোসেন

ঢাকায় গ্রেফতার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।

আজ (রোববার) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

মারুফ সরদার জানান, শাহবাগ থানার কদম ফোয়ারার সামনে থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন তিনি শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাকে সোনাগাজী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে। তারাই মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু শুনানি হওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে জামিন পেতে তাকে বিচারিক আদালতে আবেদন করতে হবে।

আজ (রোববার) বেলা ১টা মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী সালমা সুলতানা জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াত হাইকোর্ট, তা সোমবারের কার্যতালিকায় রাখেন।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতার হন মোয়াজ্জেম হোসেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর, মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হলো। গত ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

এদিকে, যত দ্রুত সম্ভব নুসরাত হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ করার কথা জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, নুসরাত হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

আজ (রোববার) সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের সংবিধান পুরুষের সঙ্গে নারীর সমঅধিকার প্রদান করলেও প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেকে বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার হন। এ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো ও বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে কমছে মামলা জট।

প্রসিকিউটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মামলাজট গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নামিয়ে আনতে হবে, এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। কোন বিচারপ্রার্থীকে বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় দেখতে চাইনা। বিলম্বিত বিচারে বিচারপ্রার্থী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তার ন্যায়বিচার পাওয়ার পথও সংকুচিত হয়। আর অপরাধীও নতুন করে অপরাধ করতে উৎসাহিত হয়।#

 

পার্সটুডে/শামস মণ্ডল/আশরাফুর রহমান/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ