ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে বসাতে পেরেছি। সামনের দিকের এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।’
আজ (সোমবার) ঈদুল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশকে কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, এ জন্য তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশ যে মর্যাদা অর্জন করেছে, তা যেন অটুট থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আমি সব কিছু উৎসর্গ করে এদেশের জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।'
তিনি বলেন, ‘আজ দেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সেটা অব্যাহত থাক। মানুষ উন্নত, সুন্দর জীবন পাক, কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, এদেশের মানুষ সর্বত্র মর্যাদা পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে মানুষ যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে সেই আস্থার মর্যাদা আমি রাখব। সে দায়িত্ব দেশের মানুষ তুলে দিয়েছে সেই দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি সেই দোয়া চাই।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখের অপারেশন প্রসঙ্গে বলেন, 'বয়স হয়েছে, বুড়ো হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে আমার চোখের সানি অপারেশন করাতে হয়েছে। এখনও পাঁচবার করে চোখে ওষুধ নিতে হচ্ছে।'
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালি যারা আছেন সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র মুসলিম উম্মাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ডেঙ্গু রোধে বাসাবাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন: প্রেসিডেন্ট
এদিকে, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেছেন, ‘এবারের ঈদুল আজহা এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। কোরবানির পর বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে এডিস মশার উপদ্রব আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই নিজ দায়িত্বে কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে এবং বাসাবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয় উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বানভাসি মানুষ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। বিরূপ পরিবেশের কারণে তারা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সামর্থ্যবান সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।' সবশেষে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা যেন সবার জন্য সুখ, শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনে, আল্লাহর দরবারে সে প্রার্থনা করেন তিনি।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২