অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে: বিশ্বব্যাংক
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i74277-অর্থনৈতিক_প্রবৃদ্ধির_গতি_বাড়লেও_দারিদ্র্য_বিমোচনের_গতি_কমেছে_বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ গত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনও প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ০৭, ২০১৯ ১৬:৩২ Asia/Dhaka
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ গত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনও প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে।

বিশ্বব্যাংক প্রণীত ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে।

এছাড়া দেশে দারিদ্র্য কমেছে অসমভাবে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের উত্তরাঞ্চলে  রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং রাজশাহী ও খুলনায় একই জায়গায় রয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিত হারে। বরিশাল, ঢাকা ও সিলেটে আঞ্চলেও দারিদ্র্য কমেছে।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বিগত দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দরিদ্র রয়ে গেছে।

উপকারভোগী মায়েদের মধ্যে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অর্থ তুলে দিচ্ছেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন( ফাইল ফটো)

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষ করে দারিদ্রের নতুন ক্ষেত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শহর এলাকায় দারিদ্র্য মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ, কেননা ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের অর্ধেক শহরে বসবাস করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচনের ৯০ শতাংশ কর্মসূচি গ্রামে রয়েছে। শহরে দারিদ্র্য কমেছে সীমিত হারে এবং অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শহরের লোকের অংশ একই রয়ে গেছে। ফলে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমেছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই তথ্য অনেক পুরনো। গত ১০০ বছর আগে বাংলাদেশে কোথায় ছিল আর এখন কোথায় সেটা ভাবতে হবে। এই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের আগের তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র অনেক ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার যেভাবে কাজ করছে সেটার আলোকে ২০৩০ সালের মাঝে আমাদের যে স্বপ্ন সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট ২০২৪ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। আমরা স্বাভাবিকভাবেই জিডিপিতে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এবং আমাদের তরুণ মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাকি দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারবো। বাংলাদেশি একবার যারা দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছে তারা আর গরিব হবে না, কারণ আমরা বিভিন্ন সেক্টরকে উন্নত করেছি।#

 

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এমবিএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।