অক্টোবর ৩১, ২০১৯ ১০:৩৪ Asia/Dhaka
  • এ টি এম আজহারুল ইসলাম
    এ টি এম আজহারুল ইসলাম

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির রায়ে আজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা  ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল রাখা হয়।

আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। আপিল বেঞ্চের বাকি তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।

এ টি এম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আমরা রায়ের রিভিউ আবেদন করব। আশা করি সে পর্যন্ত রায় কার্যকর হবে না।

খন্দকার মাহবুব হোসেন

একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোসহ তিন অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির দণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ের পর ষাটোর্ধ এই জামায়াত নেতা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “এটা ফরমায়েশি রায়। আমি নির্দোষ। আল্লাহর আদালতে আপনাদের বিচার হবে ইনশাল্লাহ।”

আর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে বলেছিল, “যে ঘৃণ্য অপরাধ আজহারুল ইসলাম করেছেন, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো সাজায় তার সুবিচার হয় না।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।  

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।

এ বছরের ১৮ জুন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি শুরু হয়। উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১০ জুলাই। এর পর  মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে এটিএম আজহারকে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। আপিল বিভাগে রায় ঘোষণার সময় তিনি ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।#

 

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৩১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ