বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের গ্রেপ্তার মুজিববর্ষে শ্রেষ্ঠ উপহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i78886-বঙ্গবন্ধুর_খুনি_মাজেদের_গ্রেপ্তার_মুজিববর্ষে_শ্রেষ্ঠ_উপহার_স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের গ্রেপ্তারকে ‘মুজিববর্ষে জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
এপ্রিল ০৭, ২০২০ ১৭:৫৬ Asia/Dhaka
  • আদালত থেকে আবদুল মাজেদকে কারাগারে নেয় পুলিশ
    আদালত থেকে আবদুল মাজেদকে কারাগারে নেয় পুলিশ

বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের গ্রেপ্তারকে ‘মুজিববর্ষে জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ (মঙ্গলবার) এক ভিডিও কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ খুনি (আবদুল মাজেদ) শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গেই যে জড়িত ছিল তা নয়, সে জেলে জাতীয় চার নেতার হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি আইনের সুযোগ নিয়ে এ খুনি ওই সময়ের সরকারের আনুকূল্যে বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে এ খুনি পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যায়।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বশেষ জানতে পারে যে, এ খুনি দেশে এসে বাসায় আত্মগোপন করে আছে। তারা বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতায় সে ধরা পড়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। আমরা আশা করি, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে খুব দ্রুত রায় কার্যকর করা যাবে।’

শেখ মুজিবুর রহমান

এর আগে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াত আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭