কিট পরীক্ষার ঘোষণা স্থগিত করেছে গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ
(last modified Mon, 25 May 2020 17:03:22 GMT )
মে ২৫, ২০২০ ২৩:০৩ Asia/Dhaka
  • গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

করোনাভাইরাস শনাক্তে নিজেদের উদ্ভাবিত রেপিড ডট ব্লট কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষা স্থগিত করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কাল (মঙ্গলবার) থেকে গবেষণার জন্য এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

আজ (সোমবার) রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড ১৯ রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থগিতের কথা জানান। এর আগে দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছিল আগামীকাল থেকে তারা গবেষণার জন্য ৫০ জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আজ চিঠি দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চিঠিতে বলেছে, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর কিটের রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এরপর রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের জি আর কোভিড ১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষা শুরু করবে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বক্তব্য হলো- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) অনুমোদিত জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটের অভ্যন্তরীণ গুণগত মান পরীক্ষার (ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন) জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ২৬ মে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ আছে এরকম ৫০ জন রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’

মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘বিএমআরসি অনুমোদিত নিয়মে, আগে আসলে আগে নেওয়া হবে। এই ভিত্তিতে লালা এবং রক্ত উভয় বা যেকোনো একটি নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এই নমুনা সংগ্রহ গবেষণার অংশ, কোনো সেবা বা রোগ নির্ণয় নয়।‘ ওষুধ প্রশাসনের অনুরোধে তারা নমুনা সংগ্রহের কর্মসূচি স্থগিত করেছে। সরকারের অনুমতি পেলে পরবর্তীতে তারা নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাস শনাক্তকারী ২০০ কিট গত ১৩ মে বিএসএমএমইউতে হস্তান্তর করে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে এখন পর্যন্ত কিটের কার্যকারিতা বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (২৪ মে) গণস্বাস্থ্যের ল্যাবে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আমি জ্বর অনুভব করার পর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে পরীক্ষা করাই। আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে আমি বাড়িতে আইসোলেশনে আছি। আমি ভালো আছি। শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা অনুভব করছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সাধারণত তিন দিন সময় লাগে। ফলে অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে পরীক্ষা করার জন্য আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে। পরশু অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করব।’#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ