গার্মেন্ট মালিকরা আরেক দফা প্রণোদনা চায়: শ্রমিকরা বলছে তাদের দাবি অযৌক্তিক
মহামারি করোনায় পর্যুদস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। আর সেই আঘাতে পঙ্গু হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প।
গত দু’মাসে কিছু রপ্তানি বেড়েছে। কিছু কিছু নতুন অর্ডারও আসছে। তবে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে,এখন কারখানাগুলি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। জুলাই মাসে তাদের সক্ষমতার ৫৬ শতাংশ উৎপাদন করতে পেরেছে আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরের জন্য অর্ডার এসেছে সক্ষমতার মাত্র ৩৫ শতাংশ।
এ অবস্থায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংকটে পড়েছে অনেক কারখানা। তাই আরেক দফা প্রণোদনার জন্য সরকারের কাছে হাত পেতেছে তারা। এ যাত্রায় আরো তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে ৪.৫ শতাংশ হার সুদে। তা দিয়ে আগামী তিনমাস তারা শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারবে।
তবে নতুন করে প্রণোদনার দাবিকে আযৌক্তিক বলে মনে করন শ্রমিকরা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন রেডিও তেহরানকে বলেন,এর আগে করোনার কারণে কারখানা বন্ধের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য পোশাক কারখানা মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে সরকার। তখন শর্ত ছিল শ্রমিক ছাটাই হবে না;কারখানা বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু দেখা গেল লক্ষাধিক শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। অনেক কারখানা লে অফ করা হয়ছে। ইতোমধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে সহায়তা ও আইএফসি থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেয়েছে।
তিনি আরো জানান,করোনার প্রথম দিককার সংকট অনেকটা কেটে যাচ্ছে। অনেক বাতিল অর্ডার ফেরত এসেছে। তাই এখন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা মালিকদের দায়িত্ব। সেজন্য নতুন করে প্রণোদনা চাওয়া অযৌক্তিক।
এদিকে ব্যবসায়ীরাও আশা করছেন,আগামী ক্রিষ্টমাসকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাকের অর্ডার বাড়তে পারে। তবে তাদের দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদেশি ক্রেতারা আগের চেয়ে দাম কমিয়ে দিতে চাইছে।
অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রসঙ্গে বিশ্লেষকরা মনে করেন,ঢালাওভাবে এমন সহায়তা না দিয়ে বরং এর যৌক্তিকতা বিচার করা যেতে পারে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/১৬