মোশতাকের মন্ত্রিসভার ২২ জনই ছিলেন বাকশালের নেতা: রিজভী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i82635-মোশতাকের_মন্ত্রিসভার_২২_জনই_ছিলেন_বাকশালের_নেতা_রিজভী
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, এ দেশের মানুষ সত্তরের নির্বাচনে যে কারণে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল তার প্রত্যেকটার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দলটি। স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো গণতন্ত্র সেটাকে তারাই হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে আছে একদলীয় বাকশাল, রক্ষীবাহিনী-লালবাহিনীর নির্যাতন,  বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্ভিক্ষ, রিলিফ চুরি।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
আগস্ট ২৯, ২০২০ ১৭:৩১ Asia/Dhaka
  • বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী
    বক্তব্য রাখেন রুহুল কবির রিজভী

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, এ দেশের মানুষ সত্তরের নির্বাচনে যে কারণে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল তার প্রত্যেকটার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দলটি। স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো গণতন্ত্র সেটাকে তারাই হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে আছে একদলীয় বাকশাল, রক্ষীবাহিনী-লালবাহিনীর নির্যাতন,  বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্ভিক্ষ, রিলিফ চুরি।

আজ (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম-৭১' আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এসব মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, একাত্তর সালে বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন সেনাবাহিনীর একজন মেজর। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আওয়ামী নেতাদের পাওয়া গেল না। জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লে। যুদ্ধের এটি সেক্টরের নেতৃত্ব দিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। আর সেজন্যই জিয়াউর রহমানের প্রতি, জিয়া পরিবারের প্রতি আওয়ামী নেতাদের এত ক্ষোভ, এত প্রতিহিংসা। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিনই জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনায় মুখিয়ে থাকেন।

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী নেতাদের সাম্প্রতিক সমালোচনার জবাবে রিজভী উল্লেখ করেন, ১৫ আগস্ট রাত পর্যন্ত যারা বাকশাল প্রবর্তক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার সদস্য,  সেই মন্ত্রীরা বাকশাল নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন।  খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার ২৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বাকশালের নেতা। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, সেসময়কার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর তিনজন প্রধান খন্দকার মোশতাকের কাছে গিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করলেন। জিয়াউর রহমান তো জাননি। ১৫ আগস্টের সময় জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কর্মকর্তা।

রিজভী বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান এদেশের রাজনীতি ও প্রশাসনের ক্ষমতায় আবির্ভূত হন। তারপর আওয়ামী লীগ যত অপকর্ম করেছে সেখান থেকে শুভ দিক যেটা সেখানে তিনি দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা বন্ধ করে দেওয়া গণমাধ্যম জিয়াউর রহমান খুলে দিয়েছেন। এই যে পার্থক্যটা একটি ইতিবাচক, ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে- তা মানতে পরছেন না ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।