রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি শনাক্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i84122-রায়হান_হত্যা_মামলার_প্রধান_আসামি_শনাক্ত_স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে।  তাকে ধরতে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাকে আমরা ধরে ফেলব।  অপরাধ করে কেউ পার পাচ্ছে না।  
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
অক্টোবর ২৪, ২০২০ ১৯:৪৫ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
    বাংলাদেশের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

বাংলাদেশের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে।  তাকে ধরতে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাকে আমরা ধরে ফেলব।  অপরাধ করে কেউ পার পাচ্ছে না।  

আজ শনিবার টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,পুলিশও কোনো অপরাধ করে ছাড় পাবে না।  পুলিশ যেখানেই অন্যায় করেছে, যারাই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হয়েছে।  কোনো জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য আমরা কাউকে ছাড় দেব না।  

ওদিকে, সিলেট নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় হারুনুর রশিদ নামে আরও এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে কনস্টেবল টিটু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গ্রেপ্তার হারুনুর রশিদ বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন রায়হান।

এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাষ্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।
নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ওই ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। টিটু বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইন-চার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভুঁইয়া, পুলিশ সদস্য টিটুসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

এ ছাড়াও গত ২১ অক্টোবর এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (সাময়িক বরখাস্ত) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।#

পার্সটুডে/এআরকে/আমির/২৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।