বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু
(last modified Sat, 05 Dec 2020 12:12:28 GMT )
ডিসেম্বর ০৫, ২০২০ ১৮:১২ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে আরও ১ হাজার ৮৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৮০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৮ জন। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ১২ জন। এর মধ্যে ৩৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। একজনের বাড়িতে।

দেশের ১০টি জেলায় আজ করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

এদিকে, দেশের ১০টি জেলায় আজ শনিবার শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। সকালে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় নমুনা পরীক্ষা খুবই প্রয়োজন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সব জেলাতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ১০টি জেলার সিভিল সার্জন, জেলা সদর হাসপাতালগুলোর পরিচালকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না, সেটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই পরীক্ষা করা যায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব জেলাতে আরটিপিসিআর টেস্ট করার সুযোগ নেই, ল্যাব নেই। কারণ আরটিপিসিআরের জন্য বায়োসেফটি ল্যাব প্রয়োজন হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই যেখানে পিসিআর ল্যাব নেই, সেখানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো গেল। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল খুব সহজে পাওয়া যাবে। এসব জেলার মানুষ সুবিধা পাবে। তিনি জানান, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।