আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i85326-আজ_বাংলাদেশে_পালিত_হচ্ছে_শহীদ_বুদ্ধিজীবী_দিবস
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের উষারগ্নে ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ১৪, ২০২০ ১৭:১৭ Asia/Dhaka
  • আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের উষারগ্নে ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

এ দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এবার করোনা আবাহর কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। এ উপলক্ষ্যে করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে আজ (সোমবার) সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ পরিবারের সন্তানরাসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ছাত্র-যুব, পেশাজীবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

তবে  বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজ পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এদের মধ্যে ৯৯১ জন ছিলেন শিক্ষাবিদ, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী এবং ১৬ জন সাহিত্যিক, শিল্পী ও প্রকৌশলী। বুদ্ধিজীবী নিধনের এ তালিকায় ঢাকা বিভাগে ২০২ জন শিক্ষক ও ১০ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন শিক্ষক ও ১০ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। খুলনা বিভাগে ২৮০ জন শিক্ষক ও ছয়জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। রাজশাহী বিভাগে ২৬২ জন শিক্ষক ও ১৫ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।

এদিকে, আজ  সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যখন নিশ্চিত হয়েছিল পরাজয়ের, যখন তাদের কাছে বিকল্প কোনো পথ ছিল না, তখন তারা জাতিকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে তালিকা করে বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে।  

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আজকে মৌলবাদী গোষ্ঠী পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করে ধর্মের নামে মিথ্যাচার করছে। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে মৌলবাদী গোষ্ঠীর আস্ফালন আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অশনি সংকেত। তাদের শেকড় অনেক গভীরে, তাদের সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না। তবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ মৌলবাদী শক্তিকে উপড়ে ফেলতে জাতী আজ ঐক্যবদ্ধ।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান  বাবুল আখতার/ ১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।