করোনার দ্বিতীয় ডোজ শুরু: টেস্ট করাতে বিড়ম্বনায় মানুষ
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাস মহামারির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘আপনারাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। সবাইকে উৎসাহিত করবেন। মাস্ক পরবেন। ঘরে ফিরে গরম পানির ভাপ নেবেন। গড়গড়া করবেন। করোনার মধ্যে জীবন-জীবিকা চালিয়ে নিতে হবে।’
এদিকে,দেশে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুই মাস আগে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রমও চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,প্রথম ডোজ দেওয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সব জেলা-উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা আজ সকাল থেকে একযোগে এই দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু করেছেন। কেউ প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে থাকলে আট সপ্তাহ পর মোবাইলে এসএমএস পেলে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে টিকা কার্ডসহ যেতে হবে। কোনো কারণে মোবাইলে এসএমএস না পেলেও আট সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ‘ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট’ অটোমেটিক জেনারেটেড (স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত) হবে। এ ছাড়া ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেওয়ার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধনে সমস্যা দেখা দিলেও তা পরে কেটে যায়। হয়তো তথ্য দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। প্রথম ডোজ নিতে প্রায় ৬৯ লাখ নিবন্ধন হয়েছে। আর প্রায় ৫২ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’
এরই মধ্যে করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হবার কথা জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা ।
এদিকে,রাজধানীসহ বিভাগীয় নগরীতে গণপরিবহন চালু রয়েছে। বাসগুলি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে কিনা এবং রাস্তায় বা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারক করছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে,ব্যবসায়ী,দোকান মালিক এবং দোকান কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারা দেশে দোকানপাট ও বিপণিবিতান (শপিং মল) খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার।
তবে এ ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে,স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/৮
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।