বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ মাদক ‘এলএসডি' উদ্ধার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i92256-বাংলাদেশে_প্রথমবারের_মতো_ভয়াবহ_মাদক_এলএসডি'_উদ্ধার
দেশে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ মাদক ‘এলএসডি’ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে  রাজধানীর একটি  বাসা  থেকে ২০০ পিস এলএসডি’ (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড)  মাদক জব্দ করা হয়েছে।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২৭, ২০২১ ১৭:৫৪ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ মাদক ‘এলএসডি' উদ্ধার

দেশে প্রথমবারের মতো ভয়াবহ মাদক ‘এলএসডি’ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে  রাজধানীর একটি  বাসা  থেকে ২০০ পিস এলএসডি’ (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড)  মাদক জব্দ করা হয়েছে।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।

গ্রেপ্তার তিন ছাত্র হলেন- লুপল, তুর্জ ও আদিব। এদের মধ্যে লুপল ও তুর্জ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ'র ছাত্র। আদিব ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র।  তাদের বিরুদ্ধে এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত  লুপল সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ‘আপনার আব্বা’ নামে একটি গ্রুপ পরিচালনা করেন। ওই গ্রুপের মাধ্যমে মাদকের ক্রেতা সংগ্রহ করা হয়। এক হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে গ্রুপটিতে। অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেন (পেমেন্ট) ব্যবস্থা পেপ্যালের মাধ্যমে সুইডেন থেকে দেশে এলএসডি মাদক আমদানি করা হয়। প্রতি পিস এলএসডি তিন হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করা হত।

পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকায় যে এলএসডি  ট্যাবলেট পাওয়া গেছে, তাতে দুই ধরনের নকশা ছাপা রয়েছে। একটিতে সূর্য-বাড়ি ও সাগরের ঢেউয়ের নকশা। অন্যটিকে সাগরের গোলক স্রোতের মাঝে সূর্যকে দেখানো হয়েছে। সহজলভ্য করতে ব্লটার পেপার বা নকশা করেই মূলত বিশেষ কাগজে এলএসডি মেশানো হয়। এ ছাড়া ট্যাবলেট-ক্যাপসুল-তরল বা কিউব আকারে এলএসডি পাওয়া যায়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি সদস্যরা এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সন্ধান পায়। ডিবি সূত্র বলছে, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় তাঁর তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি শুধু একটি শর্টস পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা হিসেবে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে হাফিজুরের ভাই তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
 

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।