২৩ জুলাই থেকেই আবার দু’সপ্তাহের কঠোর লকডাউন: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
-
মো. ফরহাদ হোসেন
ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল সকাল থেকে আরও দু’সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পোশাক কারখানাসহ সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রেখেই ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গতরাতে আর একবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২২ জুন পর্যন্ত লকডাউনের শিথিলতার মেয়াদ আর বাড়ছে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সরকার ঈদের আগে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কোরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ দিন যদি আমরা বিধি-নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলতে পারি তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভাঙতে পারব। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে, বিধিনিষেধ মানতে হবে।
ঈদের সময়ে যারা ঢাকা ছেড়েছেন তারা ঈদের পরদিনের মধ্যে ফিরতে না পারলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটির নোটিশ বিজিএমইএ'র

এদিকে, সরকারের অনমনীয় মনোভাব জানার পর পোশাকশিল্পের মালিকরা ঈদের আগেই ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দিয়েছেন।
এ সম্পর্কে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নির্দেশ মতোই আমরা ছুটি ঘোষণা করেছি। ফারুক হাসান অবশ্য এটাও বলেছেন, আগামী লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে এ খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসার পর ক্রেতারা রফতানি আদেশ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, বেশিরভাগ কারখানায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি দিয়ে ৬ আগস্ট কারখানা খোলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছু কারখানায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় শ্রমিকদের জানানো হয়, সরকার যদি লকডাউন শিথিল করে তখন পয়লা আগস্ট থকে কারখানায় আবার কাজ শুরু হবে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকরাও একই নোটিশ দিয়েছেন। তাদের তরফে শ্রমিকদের বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করলে মোবাইলফোনে সবাইকে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য যে, করোনা সংক্রমণ চুড়ায় ওঠার পর পহেলা জুন থেকে বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। এসময় পোশাকশিল্পকে স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ দফা লকডাউনের সময়ও পোশাকশিল্পকে একই সুযোগ দেয়া হয়।
এবারও ঈদপরবর্তী দু’সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী সকল শিল্পকারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।