লকডাউনে পার্টি: শেষমেষ ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/world-i106892-লকডাউনে_পার্টি_শেষমেষ_ক্ষমা_চাইলেন_ব্রিটিশ_প্রধানমন্ত্রী
করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে লকডাউন চলার সময় আইন ভঙ্গ করে পার্টি করায় শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রথমে লকডাউন পার্টির অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের তদন্তে জনসনের অপরাধ প্রমাণ হয়। এরপরই তিনি প্রথমে ব্রিটিশ নাগরিকদের কাছে এবং পরে গতকাল (মঙ্গলবার) পার্লামেন্টে ক্ষমা। এছাড়া পুলিশ তাকে ৫০ পাউন্ড জরিমানাও করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ২০, ২০২২ ১২:২৬ Asia/Dhaka
  • সংসদে বক্তৃতা করছেন বরিস জনসন
    সংসদে বক্তৃতা করছেন বরিস জনসন

করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে লকডাউন চলার সময় আইন ভঙ্গ করে পার্টি করায় শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রথমে লকডাউন পার্টির অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের তদন্তে জনসনের অপরাধ প্রমাণ হয়। এরপরই তিনি প্রথমে ব্রিটিশ নাগরিকদের কাছে এবং পরে গতকাল (মঙ্গলবার) পার্লামেন্টে ক্ষমা। এছাড়া পুলিশ তাকে ৫০ পাউন্ড জরিমানাও করেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এমন শাস্তির মুখে পড়া প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পুলিশ যদিও আগেই এই শাস্তি ঘোষণা করেছিল তবে শাস্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম পার্লামেন্টের মুখোমুখি হতে হয় জনসনকে। তার সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে বৃটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও। পার্লামেন্টে তাদের দুই জনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।

বরিস জনসনের নিজের দলের কিছু নেতাও বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। তবে জনসন সেই দাবি আমলে নেন নি।  কিন্তু এবার হাউস অফ কমন্সে ১১ দিন ইস্টার সানডে ছুটির পর বিরোধীদের মুখোমুখি হতে হয় জনসনকে। এতে তিনি নিজের ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চান।

মঙ্গলবার জনসন বলেছেন, “আমি আবার ক্ষমা চাই। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানুষ আরও বেশি প্রত্যাশা করতেই পারেন। তবে কার্যালয়ে জমায়েতের ফলে যে করোনাবিধি ভঙ্গ হচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারেন নি। আমি আবার বলছি, এটা আমার ভুল। আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।”

হাউস অব কমন্সে জনসনের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু তার দলের নেতারাই সমালোচনা করে বলছেন, মানুষ যখন করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে বসে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী পার্টি করছেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।

জনসন এরইমধ্যেই ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিয়েছেন। কিন্তু লন্ডন পুলিশের তদন্ত এখনো শেষ হয় নি। তারা জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পার্টি করার আরো অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।