বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু কমেছে; টিকার ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর করা হচ্ছে
বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫১ জনে।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার (১৯ জুলাই) দেশে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যু হয় এবং করোনা শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৩২১ জনের। তারও আগে ১১ জুলাই দেশে ২৩০ জন মারা যান।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জনে।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ০৫ শতাংশ।

এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকা নিবন্ধনের ন্যূনতম বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
শুক্রবার মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
এক সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও টিকার নিবন্ধনের ন্যূনতম বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করার পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করার সুপারিশ করেছে।
খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা ১৮ বছর করার বিষয়ে কাজ শুরু করবেন। গ্রাম পর্যায়ে প্রান্তিক মানুষকে কীভাবে আরো সহজ টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলেও জানান তিনি। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার থেকে নতুন করে লকডাউন শুরুর বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ঈদের আগে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ কমেছে। আজকে থেকে যে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে, সেটা কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আমাদেরকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে এটা আমি জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো আছে।
খুরশীদ আলম বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে দিনে ২০০ টনে পৌঁছে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা থাকে ৭০ থেকে ৯০ টনের মত। তবে দেশে এখনো অক্সিজেনের মজুদ আছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে। কোভিড রোগীর চাপ সামলাতে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করার পরামর্শ এসেছে বলেও জানান।
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।